অফিসই মোদের বাড়ি, মোরা IT কর্মচারি

Anirban & Arijit, Humor, Monday, Series, Technology, আই টি ভাইটি, বাংলা

– কারুর খোলা আছে কি?
– সকাল থেকেই তো খুলে বসে আছি, শালা ঢুকছেই না। তোর টা খোল তো, আমি আসছি।
– চলে আয়, একসাথে ঢোকাই। আমারটা আবার এমনিতেই স্লো।

যারা বুঝলেন এই কথোপকথন তাদের জন্য এই লেখা তো বটেই, তবে যারা শুধুই সুড়সুড়ি টা উপভোগ করলেন, তাদেরকে বলি, “জীবনের জাস্ট ৫ টা মিনিট নির্মল আনন্দ নিয়ে যান, তাও ফ্রি তে, অন্যের ঠাট্টা ওড়াতে যে কি মজা তা আর কি করে বলে বোঝাবো।” যদিও অন্যের মধ্যে এই অধমও একজন।

“IT”, নামটা শুনলেই এখন বুক টা ধড়াস করে ওঠে। রাতে শুতে যাওয়ার সময় মনে হয় কাল চাকরি টা থাকবে তো! আসলে কিছুদিন আগে একটা অকালপশ্চাৎপক্ক স্বঘোষিত “লেখক” এর উদ্দীপক একটা লেখা পড়ে ফেললুম। “ওরে আমার ভাইটি, দিন ফুরলো IT-র“। ব্যস, তারপর থেকেই মালটা কে খুঁজছি, আপনারা কেউ চিনলে জানাবেন তো। আসলে চাপ টা আমাকে নিয়ে নয়, আমার সদাভীত স্ত্রীও ঐ লেখা টা পড়ে ফেলেছে এবং ক্যালরিমিতির মূলনীতির অনুসরণে আমাকেও ভীত সন্ত্রস্ত বানিয়ে বাজারে ছেড়ে দিয়েছে।

তাই আমার টারগেট এখন আপনারা। IT তে থাকার যে কি মজা, তার স্পর্শ আপনাদেরও দিতে চাই একটু। দৈনন্দিন খোরাকের মক্কা বলতে পারেন এই IT অফিস গুলো কে। শুধু একটাই অনুরোধ, প্লিজ কাউকে বলবেন না যে এটা আমার লেখা, কারণ HR রা এখন জাস্ট ছুতো খুঁজছে!

 

||

যাই হোক, সোক্কাল সোক্কাল আমি যুদ্ধের জন্য তৈরি হই, তবে আমার বন্ধুরা শুনলে খিস্তি মারতে পারে, কারণ আমার সোক্কাল টা একটু দেরি তেই শুরু হয়, যাজ্ঞে ডিটেলে গেলুম না।

কস্ট কাটিং-এর যুগে অফিসের নিজস্ব বাস প্রায় বিলুপ্তির পথে। তাই তেনাদের কল্যাণে বা অশেষ কৃপায় যদি কদাচিৎ ক্যাব মেলে, তাহলে সেটিকে তস্য গলিঘুঁজি পেরিয়ে বাড়ির শোওয়ার ঘরের কাছে আমরা পার্ক করিয়ে ছাড়ি। তারপর সেই বৃহৎ সুমো কিভাবে কানাগলি তে ইউটার্ন মেরে বেরোবে, বা রাতে ফেরার সময় কিভাবে বাকি আধমরা জীব গুলোকে তাদের বাসায় পৌঁছে দেবে, সেসব ভাবার কাজ আমার নয় বস।

বাস বা ক্যাব না থাকলে শাটলই রক্ষাকর্তা, তবে স্পেস শাটল অবশ্যই নয়, কারণ “স্পেস” নিয়ে শাটলে মারামারি ডেলি রুটিন। তা যেনতেন প্রকারেণ যুদ্ধ জিতে অফিস টা পৌঁছান গেল। লিফ্ট নামতেই আবার একচোট ধস্তাধস্তি কুস্তাকুস্তি, ২০ জনের লিফ্টে ২২ জন উঠে ব্যাগের লেস, ভুঁড়ি, সালোয়ারের ওড়না, বিনুনি সব টাচলাইন থেকে সামলে দাঁড়াতেই ভেঁপু বাজতে শুরু করল, “ওভারওয়েট”। এই সময় টা কিন্তু বেশ ইন্টারেস্টিং জানেন তো, অপেক্ষাকৃত বিশালবপু দাদা বা দিদি কিন্তু নামতে চায় না প্রেস্টিজে লাগবে বলে, অথচ বাকিরা কিন্তু তার দিকেই মুচকি হেসে তাকিয়ে থাকে। আমাকে নিয়ে চাপ নেই, আমার তালপাতার বডি, এলেবেলে।

তা দু এক জন নেমে গিয়ে ব্যালান্স তো হল, কিন্তু কেলো টা করলেন লালচুল ওয়ালা দিদিমণি। দোষ দেব না, কিন্তু ওনার হেলান দিয়ে দাঁড়ানোর বহরে সুন্দর গ্যালপিং লিফ্টখানা মুহূর্তে অলস্টপ হয়ে গেল।

ফাইনালি আসা গেল বহুকাঙ্ক্ষিত ডেস্কের সামনে। ঠিক আবার কেউ চেয়ার টা ঝেড়ে দিয়েছে শালা। এইজন্যই নীতেশ দা স্টেশান থেকে চেন কিনে এনে চেয়ার টা কে ড্রয়ারের হ্যান্ডেলের সাথে বেঁধে রাখে। কবে জানি একদিন বলছিল পুরো প্যাকেজটাই একজন টেনে নিয়ে গেছিল নিজের ডেস্কে।

মেল চেক করার আগে রাতের লেটনাইট ক্যাব খানা বুক করে নেওয়া খুব দরকারি জানেন তো, ভুলে গেলেই কেস। একজন কলিগ আবার আমায় একদিন এথিক্স নিয়ে লম্বা ভাষণ দিয়ে দিয়েছিল। “অফিস থেকে ক্যাব দিচ্ছে বলেই কি তা নিতে হবে নাকি, বাইরে তো এতো শাটল, বাস, ওলা আছে, কোম্পানির প্রতি একটু আনুগত্য তো থাকা উচিৎ!” তা, পরশু শুনলাম উনি নাকি পাতা ফেলেছেন। ওনার “আনুগত্য” নিয়ে আরও জানতে হলে পড়তে পারেন “পাতা” ঝরার মরশুমে – IT Special“।

মেল খুলতেই অনসাইট থেকে লম্বা কাজের লিস্টি হাতে চলে এল, আর সাথে গুচ্ছ এস্কালেশান যে, অফশোর থেকে আগের দিন কোন কাজ হয়নি। ব্যস, এবার আমাদের খেলা শুরু। সারাদিন ধরে এই কাজগুলোকেই নেড়েচেড়ে আবার সন্ধ্যেবেলা অনসাইট কে “সেম টু ইউ” লিখে পাঠিয়ে দিলেই কেল্লাফতে। পাতি ক্যাচ ক্যাচ খেলা আর কি, এ বলে আমায় দেখ, ও বলে আমায়, মাঝখানে ৯ ঘন্টা ঐ বয়ে চলে যায়।

তবে হ্যাঁ, ৯ ঘন্টার কিন্তু একচুল এদিক ওদিক হলে চলবে নি। কাজ করো, বা ঘুমাও, বা প্রেম ই করো, সব অফিসের মধ্যেই করো বাপু, হিসেব টা থাকবে।

একটা অদ্ভুত জিনিস খেয়াল করেছি। সারাদিনের জন্য সার্ভার ডাউন, নেটওয়ার্ক ইস্যু, ডেটাবেস প্রবলেম – এগুলো সবসময় পাশের টিমেই কেন হয় বলতে পারেন? সুন্দর সবাই মিলে মুভি দেখতে চলে যায়, আর আমি আঙুল চুষি। আজ পর্যন্ত আমার সাথে এমনটা হয়নি।

কি আর করা যাবে, অগত্যা কাজ বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য টিমের নতুন সদস্য, আই মিন সদস্যা কে ডাকলাম। এর ইন্টারভিউ আমিই নিয়েছিলাম, রিজেক্টও আমিই করেছিলাম, আর আমারই টিমে সে এখন কাজ করে, ভাগ্যের ফের।

৭ খানা স্টেপ এঁকে এঁকে বুঝিয়ে দিলাম কার পর কি করতে হবে। সব শুনে ৭ বার মাথা নেড়ে তিনি চলে গেলেন। আমি মন দিলাম নিজের কাজে। ঠিক ৩ মিনিটও হয়নি, তিনি আবার হাজির। “আচ্ছা, প্রথম স্টেপ টা হয়ে গেছে, এবার কি করব যেন?”

উঠে পড়লাম চা খেতে। মেশিনের চা কফি তে সেই মজা টা নেই জানেন তো, যেটা বুলটুর দোকানে আছে। সুট্টা টা আমার অকেশনালি চলে, তাই আর লিখলাম না। প্রজাপতি আর সন্দেশ বিস্কুট দিয়ে চা আর বিড়ি বেচে বুলটু যা কামায়, তার হিসেব একবার নিয়েছিলাম, আর সেই থেকে আমি এই ফচকে ছেলে টা কে বেশ সম্মানের চোখে দেখি। কোনটা অনুসারী শিল্প, মাঝে মাঝে গুলিয়ে যায় বিশ্বাস করুন!

চা পান শেষে দল বেঁধে ওপরে গিয়ে বসতেই চারদিকের চেয়ার গুলো আস্তে আস্তে একে অপরের দিকে এগিয়ে এল, শুরু হল আজকের গসিপ। টপিক আনলিমিটেড, আনবাউন্ড। সত্যজিৎ থেকে শুরু করে ভূত, রেস্টুরেন্ট, মদ, বিরিয়ানি, কোহলি, প্রপার্টি, মদ, শেয়ার, টিমের নতুন মেয়ে, হাইক, মদ, ম্যানেজারের গুষ্টির তুষ্টি, বিগ ডেটা, মদ, সিঙ্গুর হয়ে ফাইনালি পাশের কিউবিকল থেকে “কিরে, তোরা খেতে যাবি না” আওয়াজে এসে থামল। ১২ টায় অফিস আসি, ২ টোয় টিফিন, ব্যাস গানের এইটুকুই যা মেলে, তারপর সব ছবি।

মাইক্রোওয়েভ এর পেছনে লম্বা লাইন দেখলে মনে হয় অপেক্ষা করার থেকে ঠান্ডা খাওয়া ঢের ভালো। পেছনে ১৪ জন দাঁড়িয়ে, তার মধ্যেই ফুলবাবু দোতলা টাপারওয়্যার বের করে টুকুস টুকুস করে ক্লিপ খুললেন দুদিকের। ভেতরে একদম পদিপিসির বর্মীবাক্স। ছোট ছোট কৌটোতে উচ্ছেভাজা, ডাল, পোস্তবাটা, শশা, পেঁয়াজকুচি, কাঁচালঙ্কা, আলুসেদ্ধ, মাছের মাথা দিয়ে ডাল, মাছের বডি দিয়ে ঝোল, চাটনি, পাঁপড়। আবার হোমিওপ্যাথির শিশি তে করে দই। আগে সবগুলোর ঢাকনা খুলে খুলে রাখলেন, তারপর এক এক করে সব ওভেনের ভেতরে সাজিয়ে বাবু নব ঘোরালেন, ৫ মিনিট।

পেছনে লাইন থেকে অলরেডি ২-৩ জন হাওয়া। টিঙ করে শব্দ শুনেই ওনার ঠিক পেছনের জন কৌটো খুলে রেডি হব হব করছে, কিন্তু না। সামনের বাবুটি মখমলের মতো হাত দিয়ে আলতো স্পর্শ করে বুঝলেন যে ঠিক মনের মতো গরম হয়নি, তাই আবার বন্ধ করে ২ মিনিট।

এইসব উষ্ণ লীলাখেলা শেষ করে এবার টেবিল খোঁজার পালা। বিয়েবাড়ির ব্যাচের মতো চেয়ার ধরে ধরে দাঁড়িয়ে আছেন পরের জন। আর টেবিলের সদস্যদের হাতে এঁটো শুকিয়ে ঝরে ঝরে পড়ছে, কিন্তু ওনাদের গল্প যে শেষ হয়নি, অগত্যা অম্লানবদনে তাকিয়ে থাকা, যতক্ষন না ওনারা কৃপা করে চেয়ার ছাড়চেন।

লাঞ্চ মোটামুটি সুযোগ পেলে মিনিমাম এক দেড় ঘন্টা টেনে দেওয়া যায়। লাস্টে আইসক্রিম পান বিড়ি, সবমিলিয়ে বিয়েবাড়ির খাওয়া আর কি, শুধু লাস্টের গুলো নিজে কিনে খেতে হয়। আর যদি কোনো মুরগী ফাঁকতালে পাওয়া যায়, যার হয়তো কাল বউয়ের মামাশাশুড়ির বার্থডে ছিল, ব্যাস “খাওয়া খাওয়া”।

এই ট্রিট চাওয়ার ছুতো-র কিন্তু অভাব নেই আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে।

অ্যানুয়াল রেটিং এ “ক” পেয়েছে।
খাওয়া খাওয়া!
প্রোমোশান আটকে গেছে, ওর কম্পিটিটারেরও।
খাওয়া খাওয়া!
কাল ক্লায়েন্টের ভাই হয়েছে।
খাওয়া খাওয়া!
ম্যানেজার কাল পিঠে হাত রেখে কথা বলল।
খাওয়া খাওয়া!
প্রজেক্ট মায়ের ভোগে।
খাওয়া খাওয়া!
অনসাইট যাচ্ছে, অনসাইট থেকে ফিরছে, অনসাইট অনসাইট করছে……
খাওয়া খাওয়া খাওয়া, মানে জাস্ট খাইয়ে যা।

তা এহেন পেল্লাই খাওন দাওন সেরে এবার ঢুকতে হবে কলে। ২ ঘন্টার কল, জল পড়ুক না পড়ুক, কল খোলে রোজ সময়মতো। কান পেতে বসে থাকো যতক্ষণ না কেউ নাম ধরে ডাকছে। যেই হাঁক এল, ওমনি গড়গড় করে বলতে শুরু করলাম স্টেটাস, হঠাৎ ওপ্রান্ত থেকে দেখি আবার আমার নাম ধরে ডেকেই যাচ্ছে, খেয়াল হল কল টা মিউট করেই বকে যাচ্ছিলাম। এই এক অদ্ভুত রহস্য। নর্মাল কথা বললে দেখি মিউট করা থাকে, খিস্তি মারলেই দেখি আনমিউট ছিল, সব ষড়যন্ত্র।

এরপর কাজ করতে করতে আঁধার হল মাদার গাছের তলা। টি টাইম। লোকজন পাশের চেয়ারে বসেই নিজেদের মধ্যে ওয়াটস্যাপে কথা বলে চলেছে। অভীক কে ডাকলাম চা খেতে যাবি, বলল ইচ্ছে করছে না। আমার ডাকার ৫ মিনিট পর নীতেশ দাও ডাকল অভীক কে, একই উত্তর। “কি এমন কাজ করছিস বে, চা খাওয়ার সময় নেই?” অভীক হেঁ হেঁ করে দুবার হেসে আবার মনিটরের দিকে তাকিয়ে রইল। কিছুক্ষণ বাদে বড় কিউবিকল থেকে বেরোলেন আমাদের ম্যানেজার, দুহাত শূণ্যে তুলে একটা বিশাল আড়মোড়া ভেঙে হাঁক পাড়লেন, “কিরে অভীক, চা খেতে যাবি নাকি?” মনিটর লক করে তড়াক করে উঠে দাঁড়াল মূর্তিমান, “হ্যাঁ হ্যাঁ চলো, নীচে যাবে?

না না, জাজ করছি না কাউকে, শুধু টুকরো টুকরো ঘটনাই তো তুলে ধরছি আপনাদের কাছে।

৫ দিন খেটেও শখ মেটে না যে মোদের। যে কারণেই দেরি হয়ে থাকুক না কেন, ডেডলাইন কিন্তু ফিক্সড। তাই প্রজেক্ট ডেলিভারির জন্য উইকেন্ড কেন, পারলে তোমার বিনিদ্র রাতও উৎসর্গ করতে হবে। যায় যদি যাক প্রাণ, ক্লায়েন্টই যে ভগবান।

ম্যানেজার বুক চিতিয়ে ঘোষণা করলেন, “কে কে আসছো উইকেন্ডে?” ব্যস, সবার চোখ এখন নীচে, বা মনিটরে, বা মোবাইল স্ক্রিনে, আর সামনে ডাকলেই তাজা তাজা বোম পড়ছে।

“দাদা দাদা, আমার না এই উইকেন্ডে না ডকটর কে দেখানোর আছে, শরীর টা না দুদিন ধরেই দিচ্ছে না গো একদম।”

“দাদা গো, আমার না মনে হচ্ছে আজ রাত থেকেই জ্বর আসবে, হ্যাঁচ্চো!”

“আমার তো ভাইয়ের বিয়ে শনিবার, আর রোববারেই বৌভাত, নো কালরাত্রি, কি অদ্ভুত না?”

সবশেষে এই অধমেরই নামটা ওঠে, আর সাথে আরও কয়েকটা দুর্ভাগার। ম্যানেজার বীরদর্পে বলে যান, “সামলে নিস তাহলে, আমি আর আসছি না, কারণ আমি আর কি কাজ করব, সব তোরাই তো করবি, কিছু দরকার হলে সঙ্গে সঙ্গে ফোন করিস কিন্তু”।

উইকেন্ডের ফোন পাওয়ার অভিজ্ঞতা ভালই আমার। অফিসের ফোন থেকে বা নিজের ফোন থেকে করো, ধরবে না, একটা অজানা নাম্বার থেকে করলেই “হ্যালোওও”। তবে উইকেন্ডে “ওয়ার্ক ফ্রম হোম” এর থেকে অফিসে আসাই ভালো, নয়তো ওই “ফ্রম” টা “ফর” হয়ে যায়।

যাই হোক, এবার বেরোতে হবে। রাতে বাড়ি ফিরে অল্প একটু ঘুমিয়েও নি আমরা মাঝে সাঝেই। অফিস থেকে বাড়ি ফিরি, নাকি উলটো টা, সেটাই গুলিয়ে যায়।

এইভাবেই আমাদের এক একটা দিন কেটে যায়। হয়তো আরও অনেকরকম ভাবে, প্রত্যেকের নিজের মতো করে। তৈরি হয় কত গল্প, কত স্মৃতি।

হয়তো ভাবছেন যে এই লেখক টা আসলে কে, কোন কোম্পানি তে চাকরি করে। তাই বলে রাখি, এই লেখার অভিজ্ঞতা আমার একার নয়, এটা সকল IT কর্মচারি দের রোজকার গল্প। তবে ভাববেন না যে এরা কাজ না করে সারাদিন এইসবই করে যায়। বলতে গেলে পায়ের ঘাম মাথায় ফেলেই কাজ চলে, না না ভুল বলিনি, আসলে উলটো করে টাঙানো হয় তো। সেই কর্মব্যস্ততার মাঝেই একটু খোরাক খুঁজে নেওয়ার চেষ্টা করলাম আর কি।

ভালো লাগলে আপনার কলিগ কেও পড়ান না একবার, দেখুন না কি বলে।

 

লেখক ~ অরিজিৎ গাঙ্গুলি

প্রচ্ছদচিত্র উৎস ~ static.independent.co.uk

প্রচ্ছদচিত্র অলঙ্করণ ~ Anari Minds

70 comments

Comments are closed.