ফেরা

নৈহাটি  স্টেশনে নেমে একটা বড় হাই তুললেন বছর ষাটের চিত্তবাবু, একদম ঘুমিয়ে পড়েছিলেন ট্রেনে। ভাগ্যিস পাশে বসা ছোকরাটা বিকট শব্দে হাঁচল, আর উনি চোখ খুলেই দেখলেন কাঁকিনাড়ার প্ল্যাটফর্ম ছেড়ে গাড়ি বেরোচ্ছে। নড়ে চড়ে বসে বাঙ্ক থেকে ছোট সু্টকেসটা নামিয়ে জানলার হাওয়ায় এলোমেলো হয়ে যাওয়া চুলটা ঠিক করতে করতেই নৈহাটি এসে গেল।

লেখক ~ অনির্বাণ ঘোষ

একলা ঘর

আশ্চর্য ব্যাপার! এবারেও কেউ উত্তর দিল না। দীপ কৌতুহলবশত আর একটু এগোতেই দেখতে পেল সামনে ফাঁকা ড্রয়িং রুমে একটা হাল্কা নীলাভ আলো জ্বলছে, আর সেই ঘরেরই শেষ প্রান্তে রাখা একটা বিশাল মিউজিক সিস্টেমে বাজছে সেই গান। সাহস করে ড্রয়িং রুমে ঢুকে দীপ লক্ষ্য করল যে ফ্ল্যাটের মালিক বোধহয় একটু আগেই বাইরে গেছেন।

লেখক ~ অরিজিৎ গাঙ্গুলি

ডেঙ্গু রুখতে জিনের ছুরি

দুঃখের বিষয় এই যে এত কিছুর পরেও এইডিশ মশাদের বাগে আনা যায়নি। ওরা বেশ ধুরন্ধর, বার বার নিজেদের বদলেছে, বাজার চলতি মশা মারার ওষুধের বিরূদ্ধে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। প্রতিটা দিনের সাথে রক্তবীজের মতো বাড়ছে এদের বংশ।

তাহলে উপায়?

লেখা ~ অনির্বাণ ঘোষ

স্ক্যালপেল-৬ / স্তন নিয়ে দু চার কথা

সার্জারির ডাক্তারবাবুকে তারপরে কাজের কথায় আসতেই হল। বুকে জল জমল কেন? কি করে বোঝা গেল জল জমেছে? কাকিমা বললেন কদিন ধরে শ্বাস কষ্ট হচ্ছিল খুব, সেখান থেকেই বুকের এক্সরে করা, তাতেই ধরা পড়ল।

লেখক ~ অনির্বাণ ঘোষ
#AnariMinds

স্ক্যালপেল_১৪

আমার ঈশ্বর তখন এক পলের জন্য অবাক হয়েছিলেন মনে হয়। এই প্রথম বার আমার মুখে ওঁর নামের অন্য ডাক শুনে। ঠিক যেমনটা আমি আমার মেয়ের মুখে ‘পাপা’ শুনে তাকাই।

স্বপ্নের দোসর

একজন মানুষ তার গোটা জীবনে ছ’বছর স্বপ্ন দেখেই কাটিয়ে দেয়। তার অনেকটাই তার মনেও থাকে না, স্বপ্নটা মস্তিস্কের কোন অংশে তৈরি হয় তা আজ অবধি কারোর বোধগম্য হয়নি, কেউ ঠিক জানেও না স্বপ্ন মানুষ ঠিক কেন দেখে, অনেকে বলে অন্য মনের ইচ্ছাগুলো থাকে তাতে, বা ভয়, অনেক সময় কামও।

লেখক ~ অনির্বাণ ঘোষ