অভিশপ্ত “আইটি”

অভীক অনেকবার ভেবেছে এই জিনিসটা, মানে সিনিয়র হলেই সব কথার শেষে সাফিক্সের মতো এই ‘রাইট’ শব্দ টা কেন ? এটায় কি কথার জোর বাড়ে ? নিজের ডেসিগনেশনের আনটুয়ার্ডস এডভ্যান্টেজ নেওয়া যায়? নাকি নিজে কনফিডেন্ট না হয়েও ভুল জিনিষ কে ‘রাইট’ বানানো যায় ?

© ছন্দক চক্রবর্তী 

কালান্তর

গাড়ির শব্দে সামনের লোহার বড়ো দরজাটা খুলে যে মানুষটা বেরিয়ে এল, অনায়াসে বলে দেওয়া যায় এই মানুষটাই খেতু। হয়তো বাগানেই ছিল। মুখের ভাবটা মোটামুটি একই আছে। বয়সের প্রভাব পড়েছে শরীরে বোঝা যাচ্ছে, কিন্তু এ কী অবস্থা হয়েছে চেহারার! কেমন যেন ক্ষয়ে গেছে মনে হচ্ছে, গালগুলোও কেমন বসা! মাথার অবশিষ্ট যতোগুলো চুল আছে সবই সাদা। চশমার ভেতর দিয়েও চোখের ঘোলাটে ভাবটা বোঝা যাচ্ছে।

লেখক ~ দেবায়ন কোলে

মা

নিমাইয়ের দোকান থেকে ৫০ টাকার রসগোল্লা কিনে, সড়াখানা কেঁড়ে আঙুলে ঝুলিয়ে ফিরছিল বঙ্কা। একেই গোটা দশেক বড় রসগোল্লা মানে মহাভোজ, তায় নিমাই আবার বঙ্কাকে ফাউ দেয়।

লেখক ~ দেবপ্রিয় মুখার্জি

অন্তিম যাত্রা

সিনেমা ভালো লাগবে না মন্দ লাগবে সেটা যেমন ছবির ধারাপ্রবাহের ওপর নির্ভর করে, ঠিক সেরম ভাবেই নির্ভর করে সেই ছবির থেকে আপনার নিজের কি এক্সপেক্টেশান। বুঝিয়ে বলি, আপনি সিনেমা হলে স্টুডেন্ট অফ দ্যা ইয়ার দেখতে গেলেন এই আশা নিয়ে যে এখানে একটা ছাত্র প্রচুর পড়াশোনা করে ব্ল্যাক হোল নিয়ে একটা দারুন থিসিস দিয়ে, প্রচুর প্রাইজ ফ্রাইজ পেয়ে একদম একাকার করে দেবে; তারপর গিয়ে দেখলেন অমুক অভিনেতা আর অভিনেত্রী বুট ডুবে যাওয়া বরফের মধ্যে টি শার্ট আর চিকনের কুর্তি পরে নাচছে। আপনি আশাহত হবেনই। কিন্তু যদি উল্টোটা হয় তাহলে একটা শক লাগার মতো ব্যাপার হবে। সব শেষে কি দেখলাম না দেখলাম এসব গুলিয়ে গিয়ে নিজেকে ভালোটা বোঝাতে চেষ্টা করবেন, আপনই জিতবেন।

সাতরঙা

ওই দৃশ্য দেখে কাকিমা নিজেকে ঠিক রাখতে পারেননি, কোনো কথা না বলে নিঃশব্দে ঘর থেকে চলে গিয়েছিলেন,কয়েক মাসের মধ্যেই কাকিমা সুইসাইড করেন।

লেখক ~ ছন্দক চক্রবর্তী

স্কুলের পোশাকে ছবি

বাচ্চাকে যত ভালো স্কুলেই পড়ান না কেন, সে কোন স্কুলে যাচ্ছে, সেই তথ্য দেবেন না ফেসবুকে। স্কুলড্রেস পরা ছবি থেকেও খুব সহজেই কোন স্কুল জানা যায়। সেইরকম ছবি দেবেন না ফেসবুকে বা ইন্সটাগ্রামে।

লেখিকা ~ ঋতুপর্ণা চক্রবর্তী