অর্ধাঙ্গিনী

নীহারিকা কেঁপে উঠে হাতটা শক্ত করে চেপে ধরল, “বিক্রম, আস্তে….!” ঘরের কোণে জ্বলতে থাকা দুটো লাল মোমবাতির স্নিগ্ধ আলো এই মুহূর্তকে যেন আরও রোমাঞ্চকর করে তুলেছে। বিক্রম ছাড়িয়ে নিল ওর হাত, টেনে নিল নীহারিকার মোহময়ী শরীরটাকে নিজের আরও কাছে, পিঠে পড়ল আদরের দাগ, ওষ্ঠ অধরের এক নৈসর্গিক খেলায় মেতে উঠল দুটো শরীর।

সাতরঙা

ওই দৃশ্য দেখে কাকিমা নিজেকে ঠিক রাখতে পারেননি, কোনো কথা না বলে নিঃশব্দে ঘর থেকে চলে গিয়েছিলেন,কয়েক মাসের মধ্যেই কাকিমা সুইসাইড করেন।

লেখক ~ ছন্দক চক্রবর্তী

বিগত বসন্তের চিঠিরা

মনে হত আমি ঈশ্বর জাতীয়। দু এক আঁচড়ে লিখতে পারি ইতিহাস। চোখ বন্ধ করলে এখনো দেখা যায় সেই কদম ফুলের মেঘ্দূত। তোলা আছে তারা আমার চন্দন কাঠের বাক্সে। আর আমার চিঠিরা! আছে কোথাও কারো অবচেতনের ঈর্ষা বা অহংকার হয়ে।

৭২ ঘন্টা

ওটির বাইরে স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলো জাহ্নবী। সায়নের দাদা আর বাবা উদ্বিগ্ন হয়ে ডাক্তারের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। আত্মীয় বন্ধু হৈতেষীদের ক্রমাগত আগমন ও অনর্গল বাক্যস্রোতে দমবন্ধ লাগছিলো। পৃথিবী টা এক এক বার ফ্রিজ হয়ে যাচ্ছে মনে হচ্ছে। আবার স্টার্ট আবার ফ্রিজ…

ইকবাল

আমাদের ছাদের পাঁচিল, বারান্দার পাঁচিল সবই এত উঁচু যে বাইরে থেকে কিছু দেখা যায়না। গায়ে লাগা বাড়িগুলোয় জানালা দিয়ে মা কাকিমাদের কথা হলেও রাস্তায় বেরিয়ে আড্ডা গল্পের চল নেই একদম। ব্যতিক্রম রাসুদিদা। রাসুদিদা সারাটাদিন একতলার রোয়াকে বসে পথচলতি মানুষের খবর নেন।

ছায়াপথিক

বাসো কি এখনো ভালো?
তবে নিয়ে যেও আমায় আবার
আকাশকুসুমে ভরা ছাদে
তোমার সাথে অনেক গল্প বাকি
কত কথা বলবো বলে
এখনো গুছিয়ে রাখি

#কবিতার খাতা #ভ্যালেনটাইন ডে #আদতে আনাড়ি

ঢিলে ইস্ক্রুপ

হ্যাঁ আজই, ও দিকে ব্যাটা গেঁজেল ভোলানাথ বসে আছে তার জাংকইয়ার্ড নিয়ে। আমার অপারেশনাল স্ফিয়ার থেকে বেরুলেই খপাত করে যন্তর গুলো ধরে ক্রাশারে ভরবে।

লেখক ~ সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়