সাতরঙা

ওই দৃশ্য দেখে কাকিমা নিজেকে ঠিক রাখতে পারেননি, কোনো কথা না বলে নিঃশব্দে ঘর থেকে চলে গিয়েছিলেন,কয়েক মাসের মধ্যেই কাকিমা সুইসাইড করেন।

লেখক ~ ছন্দক চক্রবর্তী

স্ক্যালপেল_১৪

আমার ঈশ্বর তখন এক পলের জন্য অবাক হয়েছিলেন মনে হয়। এই প্রথম বার আমার মুখে ওঁর নামের অন্য ডাক শুনে। ঠিক যেমনটা আমি আমার মেয়ের মুখে ‘পাপা’ শুনে তাকাই।

অপেক্ষা

সে আর দেরি না করে প্যাকেটটা বার করে। একমাত্র সেই জানে, যে দোতলার জানালাটা এখন খোলা থাকে। বাড়ির আর অন্য জানালাগুলো শক্ত করে আঁটা থাকলেও এই জানালাটা কোন এক অজানা মন্ত্রবলে খুলে যায় এই দিনটাতেই। নাহ, ঘরে কোনও আলো জ্বলছে না। জানালাটার দুটো পাল্লাই হাট করে খোলা।

লেখক ~ স্পন্দন চৌধুরি

স্বৈরিণী

মার অনুশাসন কানে যায় না তিথির। বাথরুমের ঠান্ডা জল গায়ে ঢালতে ঢালতে দেওয়ালে লাগানো ঝাপসা আয়নাটার দিকে তাকায় ও। চাঁপাকলির মত ফর্সা সরু আঙুলে ধীরে ধীরে ঠোঁটটাকে ছোঁয় ও। আলতো করে, ঠিক যেমন ভাবে অবনীর ঠোঁট দশমিনিট আগে ছুঁয়েছিল ওকে। আঙুল নেমে আসে গলায়, মণিকন্ঠে হাত বুলিয়ে দুই পূর্ণ সুডৌল মালভুমিতে। জলের ধারা শরীর বেয়ে নামে, শিহরিত হয় তিথি। ওর শরীর আজ পূর্ণতা পেতে চায়, কিন্তু অবনী বলেছে অপেক্ষা করো। মৌমিতাকে ডিভোর্স দেওয়া অবধি।

সার্কাস

ইসমাইলের চোখের ইশারায় ওস্তাগরের বাড়ির পেছনের জুতোর কারখানার পাঁচিলের কাছে দেখা করতেও এসেছে কতবার! ইসমাইলের হাতের মধ্যে গলে যেতেযেতে জাপটে ধরেছে ওকে।তখন লালির হাতছুলেও ইসমাইলওর শরীরে হাজার ঘোড়ার দাপাদাপি টের পেত। এখন শালি বাসিয়ামাল।কয়লার উনুন ফুঁকে ফুঁকে মাখন পুড়ে কয়লা হয়েছে। কোনো উত্তেজনাই টের পায়না ইসমাইল। বেদম হয়ে হাত সরিয়ে নেয় ও।

জন্নত

খুট করে জ্বলে ওঠে ঘরের আলো। ফিকে আলো। মোহন রিভলভারের ক্ল্যাচ টেনে নিলো দ্রুত। গুনগুনিয়ে গান আসছে ঘরের ভেতর থেকে। সুর আর স্বর দুটোই খুব চেনা। বুকের ভেতর স্পষ্ট হাতুড়ির আওয়াজ…নূরী!

বিগত বসন্তের চিঠিরা

মনে হত আমি ঈশ্বর জাতীয়। দু এক আঁচড়ে লিখতে পারি ইতিহাস। চোখ বন্ধ করলে এখনো দেখা যায় সেই কদম ফুলের মেঘ্দূত। তোলা আছে তারা আমার চন্দন কাঠের বাক্সে। আর আমার চিঠিরা! আছে কোথাও কারো অবচেতনের ঈর্ষা বা অহংকার হয়ে।