আহা রে / Ahaa Re – When dream transcends destiny

“আহা রে” সিনেমাটি এমন একটা বিষয়ের ওপর তৈরী যেটা নিয়ে ভারতীয় সিনেমায় ইতিমধ্যে বেশ কিছু সাড়া জাগানো কাজ হয়ে গেছে , যেমন – Lunchbox, Once Again , Aamis (এটা একদমই অন্য লেভেল এর) ইত্যাদি । ‘রান্না’ কে কেন্দ্রবিন্দুতে রেখে বাংলাতেও বেশকিছু ভাল কাজ হয়েছে, যেমন –
অরিন্দম শীলের “স্বাদে আহ্লাদে”, প্রতিম গুপ্তর “মাছের ঝোল” প্রভৃতি , তাই এই রেসিপিতে একটু অন্যরকম কিছু না পেলে ঠিক জমত না ! এবার প্রশ্ন উঠবে – তাহলে “আহারে” কি জমে ক্ষীর ? উত্তর খুঁজতে একটু গভীরে প্রবেশ করা যাক ।

KADAKH – A dark comedy exploring some dark sides of some bright people

বাস্তব জীবনে উপরিউক্ত পরিস্থিতি যতটা ভয়ের উদ্রেক করে, সিনেমায় সেই একই পরিস্থিতি তৈরী করে ততটাই উত্তেজনাময় মজা, Fun ride ! এমনই এক Fun ride এর গল্প নিয়ে আমাদের সামনে হাজির হয়েছেন পরিচালক এবং অভিনেতা রজত কাপুর । এর আগে রজত কাপুর পরিচালিত সিনেমা Ankho Dekhi দেখেই অনুধাবন করেছিলাম অভিনেতা হিসেবে উনি যতটা দক্ষ, পরিচালক হিসেবেও তিনি কোন অংশে কম যান না । ২০১৩ সালের ড্রামার পর এবার উনি হাত দিলেন ডার্ক কমেডিতে !
বলিউডে কমেডি জঁরে উল্লেখযোগ্য বেশ কিছু কাজ হলেও ” Dark Comedy” জঁরে ভাল কাজ হাতে গোনা কয়েকটাই হয়েছে বলে মনে হয়।

আনাড়ি টকিজ : পর্ব ৪ : সাউন্ড ডিজাইনিং

হিউ,স্যাচ্যুরেশন আর ব্রাইটনেস নিয়েই রঙ এর খেলা। যারা কখনও একবারও ছবি এডিট করার চেষ্টা করেছেন তারা জানবেন যে খুব বেসিক অ্যাপেও এই তিনটি প্রপার্টি থাকে। কোন সিনেমাকে এই তিনটে বৈশিষ্ট্য নিয়ে খেলা করেই একেবারে একট আআলাদা সিনেমা বানিয়ে দেওয়া যায়। অবশ্যই সাদা কালো সিনেমার যুগে এই সুযোগ ছিল না। কিন্তু টেকনিকালার আসার পরেই পুরো ব্যকরণটা পালতে যায়। হলিউড শুরু করে খুব গাঢ় রঙের ব্যবহার। সেই সময়ে ফ্রেঞ্চ নিউ ওয়েভের ফিল্ম মেকাররা বলা শুরু করেন যে সিনেমার রঙ যত কমিয়ে দেওয়া হবে ততই দর্শক সিনেমার চরিত্র, তাদের ইমোশন, ভাবনা চিন্তার ব্যাপারে বেশি সচেতন হবেন। একে বলা হয় ডিস্যাচ্যুরেশন থিওরি। ঋতুপর্ণ ঘোষ দোসর তৈরি করার সময়ে সেই কারণে সাদা কালোতে ফিরে গেছিলেন। ওঁর মনে হয়েছিল এই সিনেমার মূল সম্বল এর ইমোশন, তার জন্য সাদা কালো রঙের গুরুত্ব অপরিসীম।

আনাড়ি টকিজ : পর্ব ৩ : সাউন্ড ডিজাইনিং

আগের দিন বলেছিলাম সাউন্ডের আউটার আর ইনার ওরিএন্টেশনের কথা, আজ বলছি diagetic আর non-diagetic সাউন্ডের কথা। Diagetic সাউন্ড এর সোর্স রিয়ালিস্টিক, অর্থাৎ যে শব্দ পর্দার চরিত্ররাও শুনতে পাবে, শুধুমাত্র অডিয়েন্সের শোনার জন্য নয়। এর উদাহরণ হল সংলাপ এবং ফলি। এর ঠিক উল্টোটাই হল non-daigetic সাউন্ড, যার কোন সোর্স আমরা দেখতে পাই না, এবং আমাদের পর্দার চরিত্ররাও যে গুলো শুনতে পারে না। যে কোন আবহ সঙ্গীত অথবা ধরুন কমেডি শো এর লাফটার ট্র্যাক পড়বে এর মধ্যে।

আনাড়ি টকিজ : পর্ব ২ : সাউন্ড ডিজাইনিং

সিনেমাতে এই প্রথম অফ স্ক্রিন মিউজিক বাজে, এখানে মিউজিকটা শুধু মাত্র দর্শক শুনতে পাচ্ছে, চরিত্র না। এর ব্যবহার এখানে পুরোপুরি আবহসঙ্গীতের মতোই। এর সাথেই খুব তাড়াতাড়ি অনেকগুলো ফলি খুব কম সময়ের মধ্যে জুড়ে দেওয়া হল, যেমন দরজা খোলা, ব্রেক কসা, ট্রাফিকের হর্ন। খুব কম সময়ের মধ্যে অনেকগুলো আলাদা আলাদা সাউন্ড, তাদের কোনটাই এক সেকেন্ডের বেশি শোনা যাচ্ছে না,শুরু হয়েই কেটে যাচ্ছে।

© এলজা রয়

আনাড়ি টকিজ : পর্ব ১ – সাউন্ড ডিজাইন

ডেভিড ফিনচার পরিচালিত ‘ফাইট ক্লাব’ নিশ্চয়ই অনেকেরই দেখা। এতে থাকা লড়াই এর দৃশ্যগুলো দেখে এত কেন অস্বস্তি হয়? কেন মনে হয় সত্যিই কেউ কারোর হাড় ভাঙছে? সেই একই অনুভূতি কি কোন হিন্দি ফাইট সিন দেখলে হয়? অথবা ‘ডাই হার্ড’ সিনেমার মারপিট দেখে কি এতটা অস্বস্তি হয়েছিল?

© এলজা রয়

অভিশপ্ত “আইটি”

অভীক অনেকবার ভেবেছে এই জিনিসটা, মানে সিনিয়র হলেই সব কথার শেষে সাফিক্সের মতো এই ‘রাইট’ শব্দ টা কেন ? এটায় কি কথার জোর বাড়ে ? নিজের ডেসিগনেশনের আনটুয়ার্ডস এডভ্যান্টেজ নেওয়া যায়? নাকি নিজে কনফিডেন্ট না হয়েও ভুল জিনিষ কে ‘রাইট’ বানানো যায় ?

© ছন্দক চক্রবর্তী 

ফেরা

নৈহাটি  স্টেশনে নেমে একটা বড় হাই তুললেন বছর ষাটের চিত্তবাবু, একদম ঘুমিয়ে পড়েছিলেন ট্রেনে। ভাগ্যিস পাশে বসা ছোকরাটা বিকট শব্দে হাঁচল, আর উনি চোখ খুলেই দেখলেন কাঁকিনাড়ার প্ল্যাটফর্ম ছেড়ে গাড়ি বেরোচ্ছে। নড়ে চড়ে বসে বাঙ্ক থেকে ছোট সু্টকেসটা নামিয়ে জানলার হাওয়ায় এলোমেলো হয়ে যাওয়া চুলটা ঠিক করতে করতেই নৈহাটি এসে গেল।

লেখক ~ অনির্বাণ ঘোষ

একলা ঘর

আশ্চর্য ব্যাপার! এবারেও কেউ উত্তর দিল না। দীপ কৌতুহলবশত আর একটু এগোতেই দেখতে পেল সামনে ফাঁকা ড্রয়িং রুমে একটা হাল্কা নীলাভ আলো জ্বলছে, আর সেই ঘরেরই শেষ প্রান্তে রাখা একটা বিশাল মিউজিক সিস্টেমে বাজছে সেই গান। সাহস করে ড্রয়িং রুমে ঢুকে দীপ লক্ষ্য করল যে ফ্ল্যাটের মালিক বোধহয় একটু আগেই বাইরে গেছেন।

লেখক ~ অরিজিৎ গাঙ্গুলি