আবদার (একটা খুব ছোট্ট গল্প)
“মা তুমি বলেছিলে না এবারের জন্মদিনে নিজের হাতে কেক বানাবে”।
ছোট্ট রুমির বায়না আর থামে না।
“বলো না মা, কারা কারা আসবে গিফ্ট নিয়ে? কাকাই কে বলব বেলুন গুলো ফুলিয়ে দিতে। আর চকমকে কাগজে লেখা হ্যাপি বার্থডে টা আলমারির মাথায় টানিয়ে দেবে দাদাই। খুব লম্বা তো দাদাই, ঠিক হাত পেয়ে যাবে। কি মজাই না হবে!”
রুমির চোখ টা জ্বলজ্বল করে ওঠে আনন্দে।
“মোমবাতি কিন্তু আমি ফুঁ দিয়ে সব একবারে নেভাবো। আর প্রথম কেক টা তোমাকেই খাওয়াব, তারপর বাবা কে। কি গো, কিছু বলছ না কেন? চুপ করে শুনে যাচ্ছ খালি!” রাগী রাগী মুখ নিয়ে বলে রুমি।
“অ্যাই রুমিইইই, এদিকে আয় এক্ষুনি পোড়ারমুখী টা। ভাই এর জুতো টা ব্রাশ করে রাখিস নি কেন। সারাদিন ওই ঘরে বসে খালি গুজ গুজ ফুস ফুস।”
চিৎকার টা ভেসে আসে পাশের ঘর থেকে।
রুমি চমকে ওঠে। তাড়াতাড়ি টিনের স্যুটকেস টা খুলে জামাকাপড় গুলোর মাঝে হাত দিয়ে এক চিলতে জায়গা বানিয়ে নেয়। লুকিয়ে রাখবার আগে আরো একবার ভালো করে দেখে নেয় মা এর ছবি টা। স্যুটকেস টা বন্ধ করে সাড়া দেয় “আসছি মা!”
লেখক ~ অরিজিৎ গাঙ্গুলি
প্রচ্ছদ চিত্র উৎসঃ huffingtonpost.com
প্রচ্ছদ চিত্র অলঙ্করণ : Anari Minds
One thought on “আবদার (একটা খুব ছোট্ট গল্প)”
osadharon ….
Comments are closed.