গড়িয়াহাট আর ঈশিতা

Bus, Durgapuja, Friends, Humor, Journey, Short Story, বাংলা

গড়িয়াহাটের মোড় মাথাটার এখন খুব শোচনীয় অবস্থা। বাইরের তাপমাত্রা এখন নয় নয় করে ৩০ তো আছেই, তার সাথে আছে ছিচ কাঁদুনে মার্কা বৃষ্টি। মানে সময় নেই অসময় নেই ঝাঁপি খুলে বসলেই হলো। বেশিক্ষন না, ওই মিনিট দশেক হুড় হুড় করে বৃষ্টি হবে, গরমটা আরো বাড়িয়ে দেবে আর সাথে কাদা প্যাচ প্যাচ। মানে এক কথায় প্রকাশ করতে দিলে বিরক্তিকর বললে ফুল মার্ক্স। একে গরম তার সাথে দুপুরের মধ্যে ওই গড়িয়াহাট মোড়ের মাথায় এসে জুটলে আর রক্ষে নেই। যদি কোনও কারনে মনে হয় আপনি মধ্যে প্রাচ্যে বেড়াতে এসেছেন তাহলে একদমই ভুল বলা যাবে না আপনাকে। বাইরের থেকে এই অঞ্চলটা, মানে ওই ধরুন বিজন সেতুর মুখ থেকে এদিকে বাসন্তি দেবী কলেজ, কি আরো একটু টেনেই দিলাম, ট্রাই-অ্যাঙ্গুলার পার্ক অবধি তাপমাত্রা বাইরের থেকে অন্ততপক্ষে ৩-৪ ডিগ্রী বেশি। যেমন ভিড় তেমন গরম। মানে বাস থেকে যদি  ট্রাই-অ্যাঙ্গুলার পার্কে নেমে পড়েন তাহলে বেশি কসরত করতে হবে না। মানুষজন আপনাকে ঠেলে ঠেলেই পৌঁছে দেবে গড়িয়াহাটার মোড়ে। রঙবেরঙের প্লাস্টিকের আড়ালে রকমারী, মনোহারি জিনিসের পসরা সাজিয়ে নানা সুরে ডাকছে গড়িয়াহাট। ফুটপাথ থেকে দোকান সবেতেই কেমন যেন অভিনবত্বের ছাপ। দু দন্ড যে একটু উপভোগ করবে লোকজন তারও উপায় নেই। কনুইয়ের গুঁতোয় তখন আপনি সরে গেছেন পাশের দোকানের কাছে।মানে এক কথায় যা তা।

পুজোর সময়ে বলে না, গড়িয়াহাট সারা বছরই এমন। হ্যাঁ মানছি, পুজোর সময় প্রভাব বেশি কিন্তু সারা বছর কম বেশি ভিড় থাকেই। তাই আমার মতো কুঁড়ে মানুষের জন্যে গড়িয়াহাট যাওয়াটা এক প্রকার ধৃষ্টতা বলা যায়। ওই ঠাসাঠাসি গাদা গাদি তে আমি কেমন গা গুলোয়। কিন্তু আমার বাড়ির মানুষজন সেটা বোঝে না। হাত ধরে হিড় হিড় করে টেনে নিয়ে যায় আর বাস থেকে নামিয়ে দেয় ট্রাই-অ্যাঙ্গুলার পার্কে। ব্যাস, বাকি কাজটা ওখানকার উত্তাল ভিড় বুঝে নেয়। আই, হেট দিস।

এই বিরক্তির প্রধান কারন এই ভিড় হলেও আরও কিছু কারন রয়েছে। তারই একটি কারন ট্রেডার্স অ্যাসেম্বলির অ্যাডভারটাইস্মেন্ট। ওই যে একটা বিশ্রী সুর গড়িয়াহাটের প্রতি আমার বিরক্তি আরো বাড়িয়ে দিয়েছে কিছুটা। শুধু মা বাবা কে দোষ দিয়ে লাভ নেই, দিদি বোন থেকে শুরু করে ঈশিতা অবধি। এর মধ্যে কি যে এতো পরমানন্দ উপভোগ করে সেটা ভগবানও জানেনা। এতো ক্ষন বেশ ভালোই শুনছিলেন গল্পো, যেই না একটা মেয়ের নাম বলে দিলাম অমনি সব চিন্তা ওই দিকেই চলে গেলো। আমি হলফ করে বলে দিতে পারি এখন ওটাই ভাবছেন, যে এই মেয়েটি কে? এতো অপছন্দ সত্ত্বেও কেন যাই? নিশ্চই কিছু আছে? না জানি আরো কতো কিছু। গল্প থেকে সব ফোকাস হাওয়া, আমি ১০০% শিওর। মানে সত্যি, পারেনও বটে। ঈশিতা কেউ না, আমার একজন ভালো বন্ধু। উহু ওরম নাক কুঁচকে, কান খাড়া করে শোনার মতো কিছু নেই। বন্ধু মানে শুধুই বন্ধু। কোনও প্রেম পিরীতি,ভালোবাসা, ভালোলাগা কিছুই নেই; “শুধুই বন্ধু”, ব্যাস। এবার মন দিয়ে গল্প শুনুন। ঈশিতা আসলে আমার কলেজের জুনিয়র। এক ক্লাস নিচুতে পড়তো। ফ্রেন্ড,ফিলোসফার, গাইড বলতে যা বোঝায় একদম সেই রকম। আমার বোনের মতো বলতে গেলে। কিন্তু ও আমার সাথে এরম করবে আমি কস্মিন কালেও ভাবি নি। “কেন করলে এরকম, বলওওও …” এই গানটা কে এখন আমি কলার টিউন করে নিতে বাধ্য হয়েছি,অন্তুত এই পুজোর আগের কটা দিন। ভাবছেন তো কি করলো, তাহলে শুনুন কি করেছে।

 

সেদিন রাতের বেলা অফিস করে বাড়ি ফিরে এসেছি। শুক্রবারের বাজার, তাই জলদি শোবার প্ল্যান নেই তেমন। পরের দিন অফিসও নেই। তাই চাপ ও নেই। অফিস করে এসে কথা বলছি ঈশিতার সাথে। ওয়াট-স্যাপের দয়ায় ঠাকুর ঠাকুর করে মেসেজের পয়সাটা বাঁচিয়ে দিচ্ছে। যাই হোক, হঠাত ঈশিতা বলছে,

 

  • কাল ফ্রি আছো?
  • হ্যাঁ, কাল তো ফ্রি-ই আছি।
  • সে কি, উইকেন্ডে কোনও প্ল্যান নেই?
  • না। এই অফিস করে আর ভালো লাগে না ধুর। বাড়িতেই ল্যাদ খাবো। কেন বল তো? কিছু দরকার নাকি?
  • হা হা হা। আচ্ছা আমায় ট্রিট দেবে না?

দেখলাম না মেয়েটা হক কথা বলছে। চাকরি করছি বেশ অনেক দিন হয়ে গেলো। প্রায় ৫-৬ মাস কি আরো বেশি। এর মধ্যে ওকে আর খাওয়ানো হয়ে ওঠেনি। আজ কাল করে করে শুধু সময়টাই বয়ে গেছে। কাজের কাজ হয়নি। তাই ভাবলাম এই একটা সুযোগ।

 

  • হ্যাঁ, কেন দেবো না। বল কবে খাবি?
  • উম্ম, কাল। কালই খাওয়াও আমায়।
  • ঠিক আছে। কই বাত নেই। কালই খাওয়াবো। কি খাবি বল?
  • যা তুমি খাওয়াবে, আমার অত ফ্যাসিনেশান নেই।
  • আরে না না। তা কি হয় নাকি। তুই বল। আমি পেটুক মানুষ, যাই পাই তাই খাই। আমার কোনও ব্যাপার নেই।
  • আচ্ছা। আসলে আমি এখন ডায়েট কন্ট্রোলে আছি। তাই বেশি ভুল ভাল খাবো না, তেল ঝালের জিনিস একদমই না। আমি বরং চাইনিজ খাবো।

 

  • হা হা হা হা হা হা হা ।
  • এতে হাসির কি হলো?
  • ডায়েট নাকি…!!!
  • এতো হাসার মতো কিছু হয় নি… আমি মোটা হয়ে যাচ্ছি, আর সামনে পুজো। তাই এসব করতে হচ্ছে। তুমি বুঝবে না।
  • হা হা হা হা হা হা হা…
  • উফফ, আবার হাসে। এরম করলে কথা বলবো না কিন্তু।
  • আচ্ছা আচ্ছা ঠিক আছে। তা তাহলে আমরা বার-বি-কিউ যাই বা মেনল্যান্ড চাইনা?
  • না। আমরা হাটারি যাবো।

 

এই হাটারি নামটা শুনেই আমার মনটা কেমন যেন টুকরে গেলো। হাটারি আসলে ওই ডেঞ্জার জোনের মধ্যে পড়ে। আমার কেমন জানি একটা সন্দেহ হলো। তাই শুধালাম আর একবার,

  • তুই সিওর তুই হাটারি যাবি?
  • হ্যাঁ, একদম।
  • আরে ওর থেকে অনেক ভালো ভালো চাইনিজ রেস্টুরেন্ট আছে কোলকাতায়। তার থেকে চল পার্ক স্ট্রীটের কোনও একটা চাইনিজ রেস্টুরেন্টে যাই।
  • না, আমি হাটারিতেই যাবো। প্লিস চলো না নিয়ে।

 

আমি আর কি করি । নিরুপায় হয়ে শেষ মেষ মেনে নিলাম। তবে বুঝে গেলাম যে এই শনিবারে আমার কপালে শনি নাচছে। রাতের ঘুমটাই চটকে গেলো ভয়ে। ধুরর্‌………

 

যেমন ভাবা ঠিক তেমন। সময় মতো এসে হাজির হলাম। আমি তো বাসে গেছি, ও এসেছে মেট্রোতে। তাই রাসবিহারীর মোড়ে একসাথে মিট করে অটো ধরে পৌঁছতে চাইলাম ট্রাই আঙ্গুলার পার্ক, কিন্তু নামতে হলো সেই গড়িয়াহাটের মোড়ে। নেমেই যথারীতি মাথায় হাত। কমপক্ষে ২-৩ হাজার লোক ওই ছোট্ট জায়গায় জামা কাপড় কিনবে বলে মারামারি করতে বাকি রেখেছে। বিশ্বাস না করতে পারলেও আমি এতটাই বিমর্ষ হয়ে পড়েছিলাম যে প্রথম প্রথম লোক জনের মাথা গুনে গুনে কাউন্ট করতে চাইছিলাম,কিন্তু পরে দেখলাম সেটা আর সম্ভব না। তাই আমি সেই চেষ্টাও ত্যাগ করলাম। এবার শুরু হলো বায়না। এই দোকানে চলো,ওই দোকানে চলো। উপায়ন্তর না দেখে সেই কাজই করতে হলো শেষ মেষ। আমি , হ্যাঁ আমি ও নাকি ঘুরছি গড়িয়াহাটের  ফুটপাথে। মানে জাস্ট ভাবা যায় না ব্যাপার টা। তার পর তো মেয়ে দের কেনাকাটা, সে আর এক কাহানি। আমি তো বাপু বুঝিনা, যখন জানি কিনবো না তাহলে কেন খামকা নামাতে বলবো অত শত জামা কাপড়? পাশের দোকানেই এক জন করলো। কিনলো তো না,সাথে বেকার বেকার এরম করলো। মানে একদম যা তা ব্যাপার। প্রথম প্রথম রাগ হচ্ছিলো,বিরক্ত লাগলেও আস্তে আস্তে মানিয়ে নিতে শুরু করলাম। কতো দোকান, কতো মনোহারী, কতো জামা সব কিছু নিয়েই একটা কেমন প্রি-ফেস্টিভাল হয়ে উঠেছে। কোনও দোকান থেকে হয়তো ঝোলানো বাঁধনির ওড়নাটায় হয়তো মিশে আছে কত লোকের আশা। কোনও একটা জারদৌসি শাড়ির কাজ করা মজুরটাও আশা করে আছে এই শাড়ির থেকে কি লাভের আশায়। গড়িয়াহাট থেকেও এতো ভালো জিনিসও যে আমার মাথায় আসতে পারে সেটার কোনও আন্দাজ ছিলো না। নিজেই একপ্রকার অবাক হয়ে গেলাম নিজের ওপর। (হাসি) আরো কতো কিছু ভাবছিলাম,কেমন যেন একটু নস্টালজিক হয়ে যাচ্ছিলাম। হঠাত ঘোর কাটলো একটা কথায়-

 

  • এটা ভালো লাগছে গো, সাবর্ন্য দা?
  • উঁহু, এটা নিস না। তুই বরঞ্চ ওই মেরুন রঙের ওড়নাটা নে। সাদা সালওয়ারটার সাথে পরবি। ভালো লাগবে।

ঈশিতা তো অবাক আমার এ হেন রূপ দেখে। একটা ঢোঁক গিলে জিজ্ঞাসা করলো,

  • এই তুমি ঠিক আছো তো? শরীর খারাপ হয় নি তো?
  • কেন? আমার আবার কি হবে?
  • না এই যে,পছন্দ করে দিচ্ছো। একটু আগেই তো গালাগাল দিয়ে আমার ভুত ভাগাচ্ছিলে।
  • এই বেশি বকিস না তো, জলদি জলদি কর। খুব খিদে পাচ্ছে।
  • “দাদা, এটা একটু প্যাক করে দিন তো।“ বলো না গো হঠাৎ কি হলো? কোনও মেয়ে কে পছন্দ হয়ে গেলো নাকি?
  • কি সব অদ্ভুত কথা।
  • না না বুঝছি আমি।
  • বেশি বোঝা ভালো না। তুই জলদি নে না। খিদে পাচ্ছে খুব।

 

এর পর বেশ অনেকক্ষন গেছে তখনো কেনাকাটা শেষ হয় নি। তখনো কিনে যাচ্ছে ঈশিতা। আমার দু হাতে দুটো ব্যাগ,ওর এক হাতে একটা প্যাকেট তার পরেও নাকি কেনা কাটার শেষ নেই। শেষমেষ একপ্রকার টেনে এনে থামাতে হলো। গোটা চার-পাঁচ প্যাকেট জামাকাপড় নিয়ে আমরা হাটারির দারস্থ হলাম। পেট তখন নানা সুরে গান গাওয়া শুরু করে দিয়েছে। গরম গরম খাবারের সাথে রসনা তৃপ্তির মাঝেই প্রশ্নটা করে বসলাম ঈশিতা কে,

 

  • হ্যাঁ রে, তোর ভালো লাগে এই ভিড় ঠেলে গড়িয়াহাটের মোড়ে শপিং করতে আসতে?
  • হ্যাঁ। এর একটা আলাদাই মজা আছে। তোমার ভালো লাগে না?
  • এতে আবার কি মজা?
  • সে কি? মজা নেই বলছো?
  • না। একদমই নেই।
  • তুমি জানো ওই যে নীল কুর্তিটা নিলাম ওটা পুরুলিয়ার আর্টের। কেউ না কেউ তো করেছে ওটা। আমাদের মাটির জিনিস, আলাদা করে কেনার মজাই আলাদা। তার ওপর যখন জামার সাথে কাশফুলের সম্বন্ধ মিশে যায়।
  • সবই মানছি। কিন্তু এই গরমে…!! কার পোষায় বল তো? কতো বড় বড় মল ছিলো। একটা থেকে কিনে নিতেই পারতিস। আরামে আরামে হয়ে যেত বেশ এসির মধ্যে।
  • সে তো পারতাম। কিন্তু এই মজাটা কি পেতাম? বিদেশি ব্র্যান্ডের খাতায় পয়সা জমা করার থেকে একটু ঘাম ঝরিয়ে দেশের টাকা দেশে রাখা কি ভালো না? আর দেখো এই এতো ঘুরে ঘুরে কতো ক্ষিদে পেলো, তাই এই খাবারটাও চেটে পুটে খাচ্ছো। ওখানে গেলে সেটা আর হতো কই? ভুরি ভুরি টাকা খাওয়া হতো। বিশ্বাস করো তুমি দিন দিন মোটা হয়ে যাচ্ছো। তাই একটু ঘাম হওয়া ভালো। যদি একটু রোগা হও।
  • সেই রে। খা জলদি। বাড়ি ফিরতে হবে।

 

সেদিন খাওয়ার পর ঈশিতা কে মেট্রো অবধি ছেড়ে দিলাম আবার। ফেরার পথে ভাবতে লাগলাম কথা গুলো কে। আদৌ কি ঠিক বলেছে ও? নাকি আমি সত্যি এতোটাই ভুল। ওই গড়িয়াহাটের মোড়ের দাঁত ফোগলা দোকানদারটা যদি একটু হাসে তার জন্য কি এটুকু কষ্ট করতে পারবো না? ওই মোড়ের মধ্যে মিশে আছে কতো হাজার হাজার স্বপ্ন। হয়তো সময়ের সাথে সাথে হাত বদলে যাচ্ছে কিন্তু তাহলেও সেই স্বপ্নের পীঠস্থান হয়ে আছে এই মোড়ের মাথা। হয়তো এই একটা পাঞ্জাবির ছিট বদলে দেবে ওই দূরের পুরুলিয়া গ্রামের কোনো এক বাপ মরা মেয়ের জীবনটা বা এই নতুন ধাঁচের কানের দুলটা কাউকে দেবে পুজোর বাজারে এক থালা ভাত আর ডাল। হাজারো স্বপ্নের ফানুস ওড়াচ্ছে ওই মোড়টা, তাকে ফানুস কিনতে একটু নাহয় সাহায্যই করলাম, কি এমন ক্ষতি হবে।

 

পড়তে পড়তে এটা নিশ্চই ভাবছেন আমি পালটি মারলাম কিনা। একদমই না। আমার এখনো সেই পরিমান অ্যালার্জি আছে গড়িয়াহাট মোড়ে জামা কাপড় কিনতে যাওয়ায়। ওই ঠেলা ঠেলি,ওই চাপাচাপি জাস্ট নেওয়া যায় না। কিন্তু হ্যাঁ, আমার দেখার দৃষ্টিটা বদলেছে। অবশ্য গড়িয়াহাট নিয়ে আমার আপত্তি ছিলো না, আপত্তি ছিলো ওই ভিড় নিয়ে। তবে ওই কথা গুলো শোনার পর ভিড়টার প্রতি ঘৃনাটা একটু কমে গেছে সেটা মেনে নিতে আপত্তি নেই। তবে আমি এখনো বলবো, “ ঈশিতা,তুই এটা কি করে করলি আমার সাথে?  হয়তো স্বগতোক্তি তে বলে নেবো,” যা করলি ভালোই করলি…  “

তবে আমরা বাঙালি তো পেট ভরে গেছে তাই এসব ভাব ভরা জ্ঞানের কথা বলছি, খিদে পেলেই আবার যে কে সেই। তবে যাই হোক পুজোর মরশুমে এরম উপলব্ধি হওয়া ভালো বেশ,তাতে আলাদা মজা আছে।  আমি আবার ফুটবলের খুব ভক্ত, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ফ্যান। তো তাদের হোম গ্রাউন্ড ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে লেখা থাকে  “Theatre of dreams…”  আমাদের তো  ওল্ড ট্র্যাফোর্ড নেই, তাই নাহয় গড়িয়াহাট ব্রিজের গায়েই লিখে দিলাম  “Theatre of dreams…” রঙ বেরঙের স্বপ্ন বেচে কিনেই আজ নতুন করে সেজেছে গড়িয়াহাট। সত্যি বলতে কি মা যে কাউকে খালি হাতে রাখেন না,

 

 

পুজো আসছে……………………………

 

 

লেখক ~  সাবর্ন্য চৌধুরী

প্রচ্ছদচিত্র উৎস ~ timemattersconcierge.com

প্রচ্ছদচিত্র অলঙ্করণ ~ Anari Minds