চির উন্নত মম শির

Anirban & Arijit, Humor, আদতে আনাড়ি, বাংলা

কলকাতা মাথা তুলে দাঁড়াচ্ছে। সিরিয়াসলি! মা ফ্লাইওভার দিয়ে যাওয়ার সময় পার্কসার্কাসের বুক চিরে যখন সায়েন্স সিটির দিকে ঢুকছেন, মানে যেখানে “আজ দুজনার দুটি পথ শুধু দুটি দিকে গেছে বেঁকে”, ঠিক সেই বাঁকের মাথায় ডানদিকে তালঢ্যাঙা “অ্যাটমস্ফিয়ার”, আর বাঁদিকে আদ্দামড়া “আইটিসি”। এছাড়া চৌরঙ্গী তে কলকাতার উত্তেজনার ফল “42” আছে, কাকে দেখে ওনার এই উত্থান বোঝা দায়। এখন ঠিক এই মুহূর্তে ইন্ডিপেন্ডেন্স ডে-র মতো পেল্লাই সাইজের একখানা ইউ এফ ও যদি কলকাতায় ল্যান্ড করতে চায়, তাহলে এই তিনটে খুঁটি তেই লটকে যাবে, মাটি ছুঁতে পারবে না, মাঝে ঠেকনা দেওয়ার জন্যও বেশ কয়েকটা আছে।

আমি ভাবি ৫০ তলায় দাঁড়িয়ে যদি ভূমিকম্প হয়, তাহলে দুলুনি টা ঠিক কেমন হবে! মানে গড়িয়ে একবার ব্যালকনির দেওয়ালে, আবার উল্টোদিকে গড়াতে গড়াতে ওয়াশিং মেশিনের গায়ে ধড়াম, সি স কেস। শুনলাম “42” এর মাথায় নাকি শুটিং স্পট থাকবে, ভাড়া দেওয়া হবে। তো আরও বেশ কিছু অপশান আছে তো এই বহুতল গুলোর কাছে। বাঞ্জি জাম্পিং এর ব্যবস্থা করতে পারে, সোঁওওও করে পড়তে পড়তে নিচে দাঁড়িয়ে থাকা ট্যাক্সির সামনে এসে জিজ্ঞেস করবেন, “সায়েন্স সিটি” যাবে?” উত্তরে “৫০ টাকা এক্সট্রা দিয়ে দেবেন” শুনেই আপনি আবার পোঁওওও করে ওপরে উঠে যাবেন। আসলে আমি নিজে লম্বা বলেই এইসব মাথায় আসে। শহীদ মিনার টা কে দেখে আজ কষ্ট হয়, ভাই কুতুব অনেক দূরে, সুখ দুঃখের গল্প করারও কেউ নেই। চ্যাটার্জী ইন্টারন্যাশনাল টাই এক লউতা ছিল পাশে, কিন্তু সেও মুখ ভেটকে থাকে আজকাল, “উও এক দিন থা, যব হাম সির উঠাকে জি তে থে!”

আসলে কলকাতা বড় হচ্ছে। কলকাতা মাথা তুলে দাঁড়াচ্ছে।

©অরিজিৎ গাঙ্গুলি