নাছোড়বান্দা
– …… তবে কেমন হত তুমি বলো তো!
– তুমিই বলো।
– না তুমি বলো।
– না তুমি।
– উঁহু, তুমি।
– আমি বলেছি আগে, এবার তোমার পালা।
– বল শালা, তোকেই বলতে হবে।
– বলব না, কি করবি?
– তোর ঘাড় বলবে, তুই কোন ছাড়।
– বাইক টা সাইড কর, আগে এর মীমাংসা হোক।
– ওকে, এই দাঁড়ালাম, নাম বাইক থেকে। তোর প্রবলেম টা কোথায়, কাউকে না কাউকে তো আগে বলতেই হবে।
– সেটাই তো। এই কথা টা তোর ঘিলুতে ঢুকতে এত টাইম লাগছে কেন? হার্লে ডেভিডসন চালাস এই মোটা মাথা নিয়ে?
– মোটা মাথা! আবার ঘিলু তুলে বললি! দাঁড়া….. অ্যা, এটা দেখেছিস কি জিনিস? ঘোড়া টিপলেই দুটো দানা তোর ঘিলু ফাঁক করে দেবে।
– শালা, ফাঁকা রাস্তায় দাঁড়িয়ে একটা মেয়েকে থ্রেট দিচ্ছিস বন্দুক দেখিয়ে? আমি কিন্তু চেঁচিয়ে লোক ডাকব।
– রাস্তা ফাঁকা কোথায়? ওই তো উন্নয়ন দা আসছে।
ভ্রুউউউউম ভ্রুউউউউউম কিঁইইইচচচচ!!
– কি হচ্ছে বে এখানে? ক্যাচাল কিসের এতো?
– দেখুন না দাদা আমাকে বন্দুক দিয়ে ভয় দেখাচ্ছে।
– কি বে লাল্লু? ক্যাপ ফাটাবার শখ হয়েছে নাকি তোর? পুজো অনেক লেট আছে।
– আরে না দাদা, প্রশ্ন টা আমি করেছিলাম ওকে, ও উত্তর না দিয়ে খালি ঘোরাচ্ছে।
– কি পোস্নো বে? আমায় বল, আমি উত্তর দিচ্ছি।
– না না দাদা, এ আপনি পারবেন না।
– এলাকার দাদা আছি বে। আমি পারি না এমন পোস্নো জন্মায়নি আজ অবধি। বলে ফেল।
– এই, তুই বল দাদা কে
– না না তুই বল।
– না তুই।
– উঁহু তুই।
….
– আব্বে অইইইইই, মামদোবাজি পেয়েছিস নাকি? এই দ্যাখ, দেখেছিস এই পিস কোনওদিন? দাঁত দিয়ে চাবি খুলে তোর প্যান্টে ঢুকিয়ে চেন টেনে ধাঁ হয়ে যাব। মিলিয়ে যাবি জাস্ট হাওয়ায়। স্যাট করে বলে ফেল কি পোস্নো।
– আজ্ঞে দাদা, ইয়ে মানে প্রশ্ন টা ছিল…
– কি ছিল?
– এই বিব্লব দা যদি পোদানমন্তি হয়, তবে কেমন হত তুমি বলো তো!
~~~♦~~~
©অরিজিৎ গাঙ্গুলি
#AnariMinds