গোলাপ

কবিতার খাতা, বাংলা

‘এই মেয়েটা,
গামলা ভরা লাল গোলাপের দাম কত রে?’
‘কিনবে নাকি? কমে দেবো, সমান জলের দরে।’
‘সে না হয় দেখবো ভেবে, দাম-দস্তুর করে।’
‘তুমি তো আমার দাদার মতো, চাইবো নাকো বেশি,
ষাটের কোটায় দর বেঁধেছি, তুমি দিয়ো পঞ্চাশ করে।’
‘বলিস কিরে? পাগল নাকি? দিনে দুপুর রোদে
ব্রীজের নীচে এসব শুনে গলাই কাটা যাবে।’
‘ছিঃ ছিঃ দাদা! বলো কি এসব এমন দিনে এসে
দিদি হয়তো দাঁড়িয়ে আছে ভিক্টোরিয়ার পাশে।’
‘সবই বুঝলাম, সবই শুনলাম, বলবো কি না জানি
পকেট ফুটো, হালটা আমার ভাঁড়ে মা ভবানী।’
‘তোমরা দাদা বড়ো মানুষ, পকেট ভরে হাজার
আমাদের রাখা হতাশা, (এই) বুঝি পড়ে গেল বাজার;’
‘ওরে শালা বচন তো খুব, কতটুকুই বা জানিস
মাসের শেষে গাদা গাদা হিসাব নিয়ে বসিস?’
‘মাফ করে দাও বলবো না আর লম্বা চওড়া কথা,
বুঝবে না গো খালি পেটে থাকার ভীষন ব্যথা।’
‘বলিস কিরে, খাসনি কেন? ভর দুপুর হলো
সকাল থেকে একটা ফুল ও বেচিসনি এখনো?’
‘বউনি হবে এই আশাতেই সময় কেটে গেছে,
একটা হাতও আসেনি আজও গোলাপ গুলোর কাছে;
নাও না দাদা একটা গোলাপ, খাবার দেবো পেটে
দিদিও খুব খুশি হবে গোলাপ পেয়ে ডেটে৷’
‘ভেবেছিলাম ঠিক একটা নেব, দাম টাম সব দেখে
দামটা শুনেই আঁতকে উঠে পকেট গেছে কেঁপে।’
‘নাও না দাদা একটা গোলাপ,হবে পঁয়ত্রিশ করে
চায়ের কাপে মুখ ডুবিয়ে পেটটা যাবে ভরে৷’
‘দে ভরে তবে গোটা তিনেক, একশ মোটে দিলাম;’
গোলাপ কাঁটায় এখন হোক খিদের জ্বালার নিলাম।

কলমে ~সাবর্ন্য
ছবি উৎস ~ pexels.com
অলংকরণ ~ আনাড়ি মাইন্ডস