মিনিটখানেক

Friends, কবিতার খাতা

এক মিনিটে তোমার সব অভ্যেস পাল্টে দিতে পারি।
মুখ ঝামটা, দাঁত খিঁচানো, বারবার বলা “ওঠো তাড়াতাড়ি”,
পাল্টা জবাবের অধিকারে থামিয়ে দিতে পারি তোমার একঘেয়ে বিরক্তিকর শব্দগুলো সব।
নিষ্ঠুর দামাল হাওয়ার মত একদমকে উল্টে দিতে পারি তোমার যত চাল, বলতেই পারি, “সংসার চলবে শুধু আমার গুটির চালে।”
“দাসী শালী” বলতেই পারি।
পিতৃতন্ত্রের পোষাকি সব নিয়ম
মুখ টিপে গেলাতেও জানি।
স্বর তুমি থেকে তুই-এ উঠিয়ে, বলতেই পারি—
“ওঠ শালী, পা টেপ আমার।”
কামনায় মাতাল হয়ে গুঁড়িয়ে দিতে পারি সব তাজমহলের ন্যাকামি।
ছিঁড়ে, কুচিয়ে, পুড়িয়ে দিতে পারি প্রেমের সব কবিতা, উপন্যাস।

কিন্তু তোমাকে চোখ দিয়ে ছোঁবার চেষ্টা করলেই হিংস্র একটা কুমীর থেকে ছোট্ট টিকটিকিটি হয়ে যাচ্ছি,
অতলে তলিয়ে যাচ্ছি আমি।
তবে ধাক্কা খেয়ে পড়ার পরে জলে ডুবে থাকতে একটুও দম আটকাচ্ছে না। হাজার হাতড়েও পিতৃতন্ত্রের কুটোটি পাচ্ছি না।
দাঁত, নখ হারিয়ে কিরকম একটা তালগোল পাকানো অবোধ অ্যাক্সোলটলের মতন লাগছে নিজেকে।
আমার সাধের ক্ষোভ, ঘেন্নার অস্ত্রগুলো খুব তাড়াতাড়ি দরকার আমার, নইলে যুদ্ধটা হারতে বসেছি।
তোমার এই এক মিনিটে মানুষ বানিয়ে দেবার শক্তিটা বড্ড বিরক্তিকর।

?

দেবপ্রিয় মুখার্জ্জী