সাতরঙা

Friends, Love Story, Short Story, আদতে আনাড়ি

#প্রথম_গল্প

বাবার বদলির চাকরির জন্য মেঘনাদের ছোটবেলা থেকেই দেশের বিভিন্ন রাজ্যে ঘুরে বেড়াতে হয়েছিল,সালটা মনে হয় ২০০২,ওরা শিফ্ট করেছে অরুণাচলের ইটানগরে।বাবার সাথে গিয়ে মেঘনা ভর্তি হয়ে গেলো ওখানকার কেভিতে,সেটা ছিল একটা শুক্রবার,পরের সোমবার থেকে স্কুলে যাবে মেঘনা,সামনেই বোর্ড এক্সাম, মেঘনার মা সবসময় ওর বাবাকে বলতো “মেয়েটার পড়াশোনা তো ডকে উঠেছে,ওর সিবিএসসি র আগে আর কোথাও যাবোনা আমরা এই বলে রাখলাম তোমাকে” – যাই হোক,সোমবার নতুন স্কুলে গেলো মেঘনা,অলরেডি অনেক জায়গা চেঞ্জ স্কুল চেঞ্জ এসবের জন্য ওর বন্ধু বানাতে বেশি সময় লাগতো না,বেশ একটা লিডার লিডার ব্যাপার ছিল মেঘনার মধ্যে – কয়েকদিনের মধ্যে আলাপ হলো পৌলমি আর ওর “বেস্ট ফ্রেন্ড”,ওই স্কুলে যেরকম হয় আর কি,অমিতের সাথে। পৌলমি ছিল ভীষণ টমবয় টাইপের,ওই বয়সেই চোখে ডিপ করে কাজল,কোঁকড়া চুল এর সামনে দুটো বিডস বাঁধা, কব্জিতে হাজার রকমের বালা আর ব্যান্ড,ঠোঁটে পিয়ারসিং এবং রেগুলার সিগারেট খেত, ট্যাটু করানোর প্রচন্ড শখ থাকলেও ১৮ বছর না হওয়ার জন্য সেটা তখনো জোটেনি কপালে – যাই হোক, মেঘনার দুজনের সাথে ভালো বন্ধুত্ব হলেও মনে মনে অমিতের জন্য একটু অন্যরকম টান তৈরী হচ্ছিল,যেটা শুধু বন্ধুত্বের নয়-অমিত পড়াশোনায় ভালো, দেখতে সুন্দর ভদ্র, ভালো ফ্যামিলির ছেলেআসতে আসতে অমিত মেঘনার একটা রিলেশন তৈরী হলো, এবং পৌলমির প্রায়োরিটিটা ওদের জীবন থেকে হারিয়ে যেতে লাগলো-পৌলমি প্রথম প্রথম ওদের প্রেম করার সময় গুলোয় এসে মাঝে বসে পড়লেও নিজে থেকেই ক্রমশ গুটিয়ে নিতে থাকলো নিজেকে। ক্লাস নাইনের ফাইনাল পরীক্ষা শেষ হয়ে স্কুল ছুটি পরে গেলো।

এই ছুটির একটা মাস মেঘনা আর অমিত হারিয়ে গেছিলো দুজন দুজনের মধ্যে,দুটো মন আর শরীরে আর কোনো বাঁধন ছিল না, একদিনের জন্য ওরা পৌলমিকে একবার ফোনও করেনি,অথচ ওর জন্যই কিন্তু মেঘনা আর অমিত এর সম্পর্ক টা তৈরী হয়েছিল। ছুটি তখন আর দিন দুয়েক বাকি,সন্ধেবেলা মেঘনা আর অমিত ফোনে কথা বলছে এমন সময় মেঘনা দেখলো “পৌলমি কলিং” দেখাচ্ছে ডিসপ্লেতে, “অমিত একটু রাখ আমি কলব্যাক করছি তোকে” বলে ফোনটা ছেড়েই পৌলমির কলটা রিসিভ করলো,ওপাশ থেকে খুব ক্ষীণ গলায় পৌলমি বলেছিলো “আমার শরীরটা খুব খারাপ মেঘনা,একবার আসবি প্লিজ ?”।মেঘনা রেডি হয়ে বাইরে এসে একটা টোটো ধরে অমিতকে ফোন করতে করতে পৌঁছে গেলো পৌলমীর বাড়ি-আগেও এসেছে,কাকু হেসে দরজা খুলে দিলেন,কাকিমার “কিরে মেঘনা চা খাবি না কোল্ড্রিংক?” এইসব সামলে পৌলমির ঘরে ঢুকলো –

– কিরে এভাবে ডেকে পাঠালি হঠাৎ? কি হয়েছে ?জ্বরজারি নয়তো রে?
– খুব ডিস্টার্ব করলাম তোদের ?অমিতের সাথে ছিলি ?
– আরে না রে বাবা বাড়িতেই ছিলাম,সারাক্ষন কি অমিতের সাথে থাকবো নাকি?
– মেঘনা,তোর কী এতো ভালো লাগে রে অমিতের সাথে থাকতে ? একটা ফালতু ছেলে, কোনো পুরুষত্ব নেই..
– স্টপ ইট পৌলমি, আমি ওকে ভালোবাসি।..

এরপরের কথাগুলো বা আচরণগুলো মেঘনা আর মনে করতে চায়না – পৌলমি ঝাঁপিয়ে পড়েছিল ওর ওপর,সব শক্তি দিয়ে চেপে ধরে মেঘনার ঠোঁটে ঠোঁট ডুবিয়ে ওর মাথায় হাত বোলাতে বোলাতে বলেছিলো “আর আমি ? আমি যে তোকে ভালোবাসি মেঘনা তুই বুঝিসনা ?”,কিছু বুঝতে পারেনি মেঘনা, পৌলমি ততক্ষনে ওর কুর্তির বুকের কাছটা ছিঁড়ে ফেলেছে ,পাগলের মতো ওর গোটা শরীরে হাত দিচ্ছে তখনই কাকিমা ঘরে এসে ঢুকেছিলেন চা নিয়ে – ওই দৃশ্য দেখে কাকিমা নিজেকে ঠিক রাখতে পারেননি, কোনো কথা না বলে নিঃশব্দে ঘর থেকে চলে গিয়েছিলেন,কয়েক মাসের মধ্যেই কাকিমা সুইসাইড করেন।

এখনো আমাদের সমাজ ভাবতে শেখেনি ওই গতানুগতিক একজোড়া ছেলে-মেয়ের ভালোবাসার বাইরেও একটা অন্য ভালোবাসা হয় !!

****************************************************************************************************************************************

#দ্বিতীয়_গল্প

পার্থ কাকুর ছেলে অভ্র, ছোটবেলা থেকেই একটু অন্যরকম – যদিও এই “অন্যরকম” নাম দিয়ে মানুষকে ট্যাগ করার যোগ্যতা গুলো আমি বা আমরা কোথা থেকে পাই জানি না,তাও উত্তর কলকাতার মধ্যবিত্ত পাড়ার ধাপি গরম করা ছেলে তো, উল্টোস্রোতে হাঁটা মানুষ গুলোকে নিয়ে কথা না বললে,হ্যাটা না দিলে নিজের বিকৃত রুচির পরিচয় দেওয়ার প্ল্যাটফর্ম পাবো কোথায় ? যাই হোক, অভ্র আমাদের থেকে হয়তো বছর দুয়েকের ছোটই হবে – একদম ছোটবেলায় যখন আমরা বিকেলে চোর-পুলিশ,কুমীর-ডাঙ্গা, সাত-পিট্টু এইসব খেলতাম, একবার মনে আছে ওই সাত পিট্টু র একটা ঢিল তখনও সাজিয়ে উঠতে পারেনি অভ্র,আমি সাঁটিয়ে ওই রবার-ডিউজ বল ছুঁড়ে মেরেছিলাম ওর দিকে “টিপ্” করে,সোজা ওর পায়ে গিয়ে লেগেছিলো – যারা এই খেলা লটা খেলেছেন বা জানেন তারা এই নিয়মটাও নিশ্চয়ই জানেন-নতুন কিছু নয়, আমিও অনেকবার পিঠে-পায়ে-হাতে ওরকম বলের আঘাত পেয়েছি – কিন্তু আমার “পুরুষত্ব” আমায় আটকেছিলো পাব্লিকলি সেই কষ্টটা দেখাতে। অভ্র হয়তো সেই অর্থে পুরুষ নয় – গোটা পাড়ার সামনে ডুকরে কেঁদে উঠেছিল বলের আঘাতে,সবাই আওয়াজ মেরেছিলাম “এমা তুই লেডিস নাকি ? যা বাড়ি গিয়ে রান্না-বাটি খেল, পুতুলের চুল বাঁধ।…..”

অভ্র সেদিনের পর আর কোনোদিনও খেলতে আসেনি আমাদের সাথে, পাড়ায় দেখলেও কথা বলতো না কারণ আমরা ওকে দেখলে মুখ টিপে হাসতাম আর ফিসফিস করে নিজেদের মধ্যে বাসের কন্ডাক্টর এর মতো “আস্তে লেডিস কোলে বাচ্চা” এইসব বলতাম। আমাদের বন্ধুদের মধ্যেই আকাশ বলে একটা ছেলে ছিল যে কখনো আমাদের এই নোংরামো গুলোয় সায় দিতো না, একমাত্র ওর সাথেই অভ্রর যোগাযোগটা ছিল – ওর কাছেই পরে শুনেছিলাম যে অভ্র সত্যিই ক্রিকেট ফুটবল এসবের থেকে পুতুল নিয়ে খেলা,ওর মায়ের মেক-আপ বাক্স নিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা ড্রেসিং টেবিলের সামনে বসে সাজা এসবে বেশি ইন্টারেস্টেড ছিল-এগুলো অনেক বাচ্চাদের ই থাকে তাই অভ্রর মা-বাবা অতটাও চিন্তা করেননি,কিন্তু ওর যখন কলেজে ফার্স্ট ইয়ার,তখনই প্রব্লেমগুলো শুরু হলো,অভ্র চুল বাড়ালো,হাতে পায়ের লোম ওয়‍্যাক্স করা শুরু করলো,চোখে রঙিন লেন্স,আর কথাবার্তাতে একটু মেয়েলি ছোঁয়া তো ছিলই – ওর বাবা মা প্রথমে খুব আপত্তি করলেও ছেলের জেদ অথবা “কলেজে আওয়াজ খেলে ঠিক হয়ে যাবে ” এই ভেবে সেবারেও ওনারা কিছু কথা বাড়াননি আর – কিন্তু একদিন অভ্র অনেক সাহস করে বাড়িতে এসে বাবা-মা কে বলে দেয় যে ওর ছেলেদের পছন্দ,শরীরে একটা ছেলে হলেও আসলে ও মনেপ্রাণে একটা মেয়ে।
সেদিন রাত্রে অভ্রকে খেতে দেয়নি ওর মা,বাবা অফিস থেকে এসে সব শুনে বেল্ট দিয়ে প্রচন্ড মেরেছিলো।

এখনো আমাদের সমাজ ভাবতে শেখেনি ওই গতানুগতিক একজোড়া ছেলে-মেয়ের ভালোবাসার বাইরেও একটা অন্য ভালোবাসা হয়!!

***************************************************************************************************************************************

#তৃতীয়_গল্প

ব্যাঙ্গালোরের এক বিরাট মাল্টি-ন্যাশনাল এর প্রজেক্ট ম্যানেজার অর্ণব ঘোষ, কলকাতায় স্কুলিং শেষ করে পুনেতে ইঞ্জিনিয়ারিং,ওখানেই একটা কোম্পানিতেই ক্যারিয়ার শুরু,বিয়ে হয়েছে বছর আট হলো,একটা ছেলেও আছে ৪ বছর বয়স – খুব ব্রাইট এবং শার্প ছেলে – সব মিলিয়ে দূর থেকে দেখলে মনে হয় সত্যি একটা হ্যাপি ফ্যামিলির এগজ্যাম্পল।….
এবার আসুন একটু কাছ থেকে দেখি –
অর্ণবের স্কুল ছিল “ওনলি বয়েজ” – ওর মায়ের ভয় ছিল মেয়েবন্ধু হলেই ছেলে আমার খারাপ হয়ে যাবে তাই প্রাইভেট টিউশনে না দিয়ে বেশি টাকা দিয়ে টিচারদের বাড়িতে এনে পড়ানোর ব্যবস্থা করেছিলেন,কোনো মেয়েবন্ধু ছিল না অর্ণবের, রাস্তায় কোনো মেয়ে ওর দিকে তাকিয়ে হাসলে প্রচন্ড ভয় পেয়ে যেত, ঘামতে শুরু করতো।ইঞ্জিনিয়ারিং এ গিয়ে ব্যাপারটা খানিকটা ঠিক হলেও সবটা ঠিক হয়নি।হোস্টেলে অর্ণবের রুম পার্টনার ছিল মুকুল নামের একটা বিহারি ছেলে -একবার ওর জ্বর হয়েছিল,তো ডাক্তার দেখানো ওষুধ আনা,দেখাশোনা করা সব কিছুই করতো অর্ণব – একদিন রাত্রে মুকুলের মাথায় জল-পট্টি দিতে দিতে মুকুলের বুকে হাত দেয় অর্ণব – এক ধাক্কায় ওই জ্বর শরীরে ঠেলে ফেলে দেয় মুকুল অর্ণব কে আর শুরু হয় বিহারি বাপ্-মা তোলা খিস্তি।দু’দিনের মধ্যেই রুম চেঞ্জ করে নেয় মুকুল।

পুনেতে চাকরি জয়েন করার পরেও একবার একটা জুনিয়র ছেলের সাথে এরকম কিছু একটা ঘটনা শোনা গেছিলো – অর্ণবের বাবা-মাও জানতেন এই ঘটনাগুলো সবই কিন্তু এর সলিউশন কি ভাবলেন ?ছেলের বিয়ে দিয়ে দি,ছেলে আমার ঠিক হয়ে যাবে। ..
একরকম জোর করেই বিয়েটা হলো অর্ণবের – এরেঞ্জ ম্যারেজ, বৌয়ের সাথে ভালোভাবে একটা রিলেশন তৈরির আগেই বৌ অর্ণবের প্রব্লেমটা বুঝে গিয়েছিলো এবং সেই থেকেই অশান্তির শুরু – অনেক সেক্সলজিস্ট, সাইকিয়াট্রিস্ট এর চক্কর কাটতে হয়েছিল অর্ণবকে -লাভ হয়নি কোনো তবে আবার বাড়ির চাপেজোর করে একটা ফিজিক্যাল রিলেশনে ওদের বাচ্চাটা এসেছিলো পৃথিবীতে – তাকে নিয়েই শ্বেতার মানে অর্ণব এর বৌয়ের দিন কাটছিলো – বছরখানেক পর একটা লং-টার্ম অনসাইট নিয়ে অর্ণব ইউ-এস চলে যায় একা ,আর ফেরেনি।

এখনো আমাদের সমাজ ভাবতে শেখেনি ওই গতানুগতিক একজোড়া ছেলে-মেয়ের ভালোবাসার বাইরেও একটা অন্য ভালোবাসা হয় !!

*************************************************************************************************************************************

না এটা কোনো ক্লাস নাইনের অঙ্ক পরীক্ষার উপপাদ্য নয়, যে কয়েকটা বিক্ষিপ্ত ঘটনার দৃষ্টান্ত দিয়ে শেষ করবো “অতএব প্রমাণিত হলো বামপক্ষ = ডানপক্ষ” – আমাদের চারপাশে এরকম ঘটনা আজকাল প্রচুর ঘটছে, আপাতভাবে যেগুলো আমরা –

“এ বাবা, ও ছক্কা নাকি ?” ,

” আরে মালটা হোমো রে,তোর গার্লফ্রেন্ডকে ঠিক বাড়ি পৌঁছে দেবে কোনো চাপ নেই”

“না না ও মেয়ের বিয়ে দেবে কি করে,ওর তো মেয়েছেলেদের সাথেই ভাব”

হাতের পাঁচটা আঙ্গুল সমান হয়না – মিডল ফিঙ্গারটা রেখে বাকিগুলো ছোট বলে বাদ দিয়ে দেন ?

ফ্যামিলির সবার সাথে তো পোষায় না,খুড়তুতো ননদের ছেলের মুখেভাতে দেখা হলে খিস্তি মারেন ?

না তো ? তাহলে শুধুমাত্র বায়োলজিক্যাল টার্মে “সেক্সচুয়াল ওরিয়েন্টেশন” টা একটু অন্যরকম হলে তাদের নিয়ে এতো কথা এতো আলোচনা এবং রীতিমতো একটা হাসির খোরাক করা – কেন বলুন তো ? অফিসে একটা কাজ তো সময়ে করতে পারেন না, ঘুষ দিয়ে চাকরিটা পেয়েছিলেন,আপনার বৌয়ের পাড়ার মেসের একটা ছেলের সাথে এফেয়ার চলছে – রাখেন এসব খবর ? তা রাখবেন কেন – শুধু কার ছেলে কার মেয়ে কি করছে না করছে সেই নিয়ে দিন কাটাবেন। তা ভালো – আপনার গাছ,আগায় কাটবেন না গোড়ায় সে আপনি বুঝুন কিন্তু খবর পুরোটা রাখুন – ওই বিট্স এন্ড পিসেস এ কানাঘুষো শুনে তাতে আদা-রসুন দিয়ে ম্যারিনেট করে কাবাব বানিয়ে বেচার আগে একটু সত্যিটাও জেনে নিন –

? পৌলমি ডেনমার্কে একটা এল-জি-বি-টি গোষ্ঠীর মানুষদের নিয়ে একটা এনজিও চালাচ্ছে, মাস গেলে আমার-আপনার চেয়ে অন্তত ৩ গুন্ টাকা রোজগার করে -ওহ দাঁড়ান আপনি যা অশিক্ষিত, এল-জি-বি-টি মানে লেসবিয়ান-গে-বাইসেক্সচুয়াল-ট্রান্সজেন্ডার।

? অভ্র এখন মুম্বাই এর একজন নামকরা মেকাপ আর্টিস্ট — সাউথ মুম্বাই এর নাম শুনেছেন?অভ্রর না ওখানে একদম নিজের একটা থ্রি-বিএইচকে আছে যেটার মধ্যে ২ টো ঘরে ব্রাইডাল মেক-আপ স্টুডিয়োর সেট-আপ করা।

? ফাইনালি অর্ণব-বলেছিলাম না ইউ-এস গেছে আর ফেরেনি – ওখানেই একটা ছেলের সাথে লিভ-ইন করে,নাম জ্যাসন – উঁহু, একদম নাক সিঁটকাবেন না – সেদিনই অফিসে টেবিল চাপড়ে বলছিলেন না “আজ ইউ-এস এতো উন্নতি করেছে কারণ ওদের চিন্তা ভাবনা অনেক প্রোগ্রেসিভ” – আচ্ছা এবার আপনি বলবেন তো যে বিয়ে করে সংসার, বৌ-বাচ্চা ফেলে ওখানে গিয়ে নোংরামো করছে ? তাহলে জেনে রাখুন অর্ণব নিজের বৌ-বাচ্চার সব খরচ নিজেই চালায়, হ্যাঁ এটা বলতে পারেন মেয়েটার জীবন কেন নষ্ট করলো – সেটার উত্তর ও কিন্তু আপনার মতোই “পাবলিকলি প্রোগ্রেসিভ” চিন্তা-ভাবনা ওয়ালা দুজন মানুষ – অর্ণবের মা বাবা।

অনেক বললাম,অনেক জ্ঞান দিলাম – মানা বা না-মানা একান্ত আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপার – শুধু একটাই অনুরোধ,এই মানুষগুলোর পাশে যদি দাঁড়াতে না পারেন,অন্তত বুলি করা আর অকারণ খোরাক করাটা থামান এবার – নিজের চরিত্র নিজের ঘর সামলান, পৌলমি-অভ্র-অর্ণব ওদেরটা ওরা সামলে নেবে এবং বিশ্বাস করুন আপনার চেয়ে অনেক ভালো সামলাবে – কারণ কি জানেন ? ওদের হারানোর আর কিছু নেই,সমাজের অপমান -আঘাত সহ্য করতে করতে ওরা অনেক সিজন্ড হয়ে গেছে। …..
আপনি কিন্তু হন নি ,আর এভাবে চালালে কোনোদিন হবেন ও না। ..
তা ভালো – আপনার গাছ,আগায় না গোড়ায়………….

?

✍ ছন্দক চক্রবর্তী