স্কুলের পোশাকে ছবি

বাচ্চাকে যত ভালো স্কুলেই পড়ান না কেন, সে কোন স্কুলে যাচ্ছে, সেই তথ্য দেবেন না ফেসবুকে। স্কুলড্রেস পরা ছবি থেকেও খুব সহজেই কোন স্কুল জানা যায়। সেইরকম ছবি দেবেন না ফেসবুকে বা ইন্সটাগ্রামে।

লেখিকা ~ ঋতুপর্ণা চক্রবর্তী

বিগত বসন্তের চিঠিরা

মনে হত আমি ঈশ্বর জাতীয়। দু এক আঁচড়ে লিখতে পারি ইতিহাস। চোখ বন্ধ করলে এখনো দেখা যায় সেই কদম ফুলের মেঘ্দূত। তোলা আছে তারা আমার চন্দন কাঠের বাক্সে। আর আমার চিঠিরা! আছে কোথাও কারো অবচেতনের ঈর্ষা বা অহংকার হয়ে।

ইকবাল

আমাদের ছাদের পাঁচিল, বারান্দার পাঁচিল সবই এত উঁচু যে বাইরে থেকে কিছু দেখা যায়না। গায়ে লাগা বাড়িগুলোয় জানালা দিয়ে মা কাকিমাদের কথা হলেও রাস্তায় বেরিয়ে আড্ডা গল্পের চল নেই একদম। ব্যতিক্রম রাসুদিদা। রাসুদিদা সারাটাদিন একতলার রোয়াকে বসে পথচলতি মানুষের খবর নেন।

ইচ্ছেডানা

আমি গাড়ি চড়তে খুব ভালোবাসি, ছোটবেলায় বাবার গাড়িতে উঠলে আর নামতে চাইতাম না, গাড়ি সিগন্যালে দাঁড়ালে মাকে মারতাম যেন মায়ের জন্যই গাড়িটা চলছে না – আসলে গাড়িটা চললে আশেপাশের সব কিছু মুভিং লাগতো আমার, গাছ বাড়ি গাড়ি দোকান সাইকেল লোকজন সবাই পেছনে সরে সরে যাচ্ছে – আর দাঁড়িয়ে থাকলে খুব অস্বস্তি হতো।

লেখক ~ ছন্দক চক্রবর্তী
#AnariMinds

ভোকাট্টা

ছোটবেলাতেও আমাদের হাতে থাকত রিমোট, আর আকাশে উড়ত ড্রোন। তফাৎ শুধু একটাই ছিল। আকাশের সেই ড্রোন আর হাতের রিমোটের মধ্যে সংযোগসূত্রটা অদৃশ্য ছিল না। বেশ ভালোই চোখে পড়ত লাল বা নীল রঙের মাঞ্জা সুতো।

লেখা ও প্রচ্ছদ ~ অরিজিৎ গাঙ্গুলি
#AnariMinds

লেডি ডায়না এদিকে আয়না

এছাড়া রয়েছে পেন্সিল বক্সে মাপ করে কাটা খবরের কাগজ। যেটা তুললেই স্কেচপেন দিয়ে লেখা – A A A A… পাশে আটকানো লাভ সাইন বা নিষিদ্ধ হার্ট স্টিকার। বোধহয় হিম্যান,স্কেলেটর,গাড়ি,বাইক,শচীন,কপিল,মারাদোনারস্টিকারেরপাতারসাথেলুকিয়েস্মাগল্ডহয়েছে।রেডিয়ামচাঁদতারাওরয়েছে।পেন্সিলবক্সেলুকনোএকঅতিক্ষুদ্রসিলাবস্টোরি।অমৃতাউইলিয়ামস্।

লেখক ~ দেবপ্রিয় মুখার্জী (গুলগুলভাজা)
#Anariminds #ThinkRoastEat

একটা হঠাৎ পাওয়া বিকেলবেলা

আজ হঠাৎ মনে পড়ে গেল সেই বিকেলগুলোর কথা। তখনও হাতে ফোন বা জয়স্টিক আসেনি। বিকেলবেলা বন্ধুরা দল বেঁধে ডাকতে আসত “পিকলুউউউউ, খেলতে যাবি!” ব্যাট উইকেট আর সাথে চাঁদা দিয়ে কেনা সাড়ে তিনটাকার রবার ডিউস বল নিয়ে দৌড়ে দৌড়ে হাজির হতাম অবিনাশ ব্যানার্জি লেনের সেই লম্বা গলির মুখে।

লেখক ~ অরিজিৎ গাঙ্গুলি
#AnariMinds

শুধুই নয় টিউশনি

হাঁসুলির মাঠ টা পেরিয়ে চন্ডীতলার রাস্তা দিয়ে যদি বিকেলের দিকে যাতায়াত করেন, তাহলে নির্ঘাত আপনার চোখে পড়বে হলুদ দোতলা বাড়ির সামনে একদল স্কুলপড়ুয়াদের জটলা আর তাদের তারস্বর চিৎকার। এ আমাদের কাছে এক অলিখিত নিয়ম।

লেখক ~ অরিজিৎ গাঙ্গুলি
#AnariMinds

কপাল

আজব কাণ্ড, আজব ব্যাপার! গরীবেরা যে যমের অরুচি সে-কথাটাকেই সপ্রমাণ করে মাসখানেক পরে বুঁচি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে বাড়ি এসেছিল। কেউ ভাবেনি, সবাই আশা ছেড়ে দিয়েছিল।

লেখিকা~ পিউ দাশ 
#AnariMinds #ThinkRoastEat