ভূত আমার পূত – গল্প ৪ ~ কার্নিশ

এই ঘটনার পর থেকেই অ্যাপার্টমেন্ট জুড়ে আর এক কাণ্ড শুরু হল। রোজ রাত ৩ টে থেকে ৩:১০ এর মধ্যে সবার ফ্ল্যাটের বাইরের গ্রিলের তালা বেশ ঝনঝন করে নড়ে উঠতে থাকল। প্রথমে সবাই ভেবেছিলেন যে মাঝরাতে কারুর কোনও এমার্জেন্সি হয়েছে হয়তো। কিন্তু পরে সোসাইটির মিটিং-এ জানা গেল ওইসময় কেউই বাইরে বেরোয় না।

লেখক ~ অরিজিৎ গাঙ্গুলি
#AnariMinds #ThinkRoastEat

ভূত আমার পূত – গল্প ৩ ~ কড়ে আঙুল

যখন কেউ পজেস্ড হয়, মানে কাউকে ভুতে ধরে, তখন তার কড়ে আঙুলের ডগা চেপে ধরে থাকলে আত্মা সেই দেহে বেশিক্ষণ থাকতে পারে না, বেরিয়ে চলে যায়। এই বিশ্বাস চরণের বাড়ির লোকেদের, আগেও এটা নাকি অনেকবার প্রমাণিত হয়েছে। বোন এই জিনিসটা করার সাথে সাথে নতুন বৌয়ের কেমন একটা অস্বস্তি লক্ষ্য করা গেল।

লেখক ~ অরিজিৎ গাঙ্গুলি
#AnariMinds #ThinkRoastEat

ভূত আমার পূত – গল্প ২ ~ ফরাসী হোটেল

হৃৎপিণ্ড টা খুলে হাতে চলে আসবে মনে হচ্ছে। এক মুহূর্তের জন্য মনে হল ব্যালকনি দিয়ে নিচে নামার কোন রাস্তা পাওয়া যায় কিনা। পাশের ব্যালকনি টাও বেশ দূরে। বেশ খানিকটা সাহস সঞ্চয় করে আমার নর্মাল খাট ওয়ালা ঘরের দরজার হাতল ঘোরালাম, খুলে গেল। পর্দা সরিয়ে ঘরে ঢুকলাম।

লেখক ~ অরিজিৎ গাঙ্গুলি
#AnariMinds #ThinkRoastEat

ভূত আমার পূত – গল্প ১ ~ আমার জানলা দিয়ে

সাহস করে গিয়ে জানলাটা বন্ধ করলাম। বেশ কিছুক্ষণ বাদে ঘরটা স্বাভাবিক হল। মাথায় কুচিন্তা ঘুরপাক দিতে শুরু করল। শুনেছি ভুতুড়ে হাওয়া হিমেল হয়, কিন্তু এই হাওয়া টা তো গরম ছিল। এই কনকনে শীতের রাতে গরম হাওয়া কেন ঢুকল। পাশের বাড়ির তন্ত্রসাধনায় কোনো পিশাচ সেঁধিয়ে গেল না তো আমার ঘরে।

লেখক ~ অরিজিৎ গাঙ্গুলি
#AnariMinds #ThinkRoastEat

কলিজা

লোকমুখে ফেরে বিভিন্ন কবরের পেছনে লুকিয়ে থাকা হাড়হিম করা সব প্রচলিত গল্প। তার সত্যমিথ্যা যাচাই করার চেষ্টা কোনদিনই করেনি মুন্নি। কারণ সময় কেটে যায় শুধু এই বেগমের সমাধির সামনেই।

লেখক ~ অরিজিৎ গাঙ্গুলি
#AnariMinds #ThinkRoastEat

ভয়

“দাদুউউউ!” ডাকতে যায় পিকলু… না আওয়াজ না… একটা ভয়মিশ্রিত বিকট আর্তনাদ বের হয় গলা থেকে! অসম্ভব ঘামছে ও এই কনকনে শীতের রাতেও…ছায়ামূর্তিটা এখনও এদিক ওদিক করছে… কি অস্থির হয়ে উঠেছে মুর্তিটা! এরম বাজে ভাবে ভয় পিকলু কোনদিনও পায়নি|
নাহ্! এভাবে আর কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলে পিকলুর হয়ত হার্ট ফেলই করে যাবে!

লেখিকা ~উদিতি মজুমদার

#AnariMinds #ThinkRoastEat

অস্তিত্ব

আসর জমেছে অনেক দিন পরে। চার বছর পর দাদা-বৌদি ফিরেছে দেশে, সাথে পুঁচকেটাকে নিয়ে। এতদিন ফেসবুকে দেখা ফটো আর ভিডিও কলের দূরত্ব কাটিয়ে সশরীরে একটা বছর আড়াই এর জ্যান্ত পুতুল পেয়ে বাবা মা যেন জীবন ফিরে পেয়েছে আবার।

লেখিকা ~ অরুন্ধতি রায়
#AnariMinds #ThinkRoastEat

ট্রায়াল রুম

অতএব হাতে একটা সবুজ রঙের টিশার্ট, আর একটা গেরুয়া পাঞ্জাবি নিয়ে আমি রেডি ট্রায়াল রুমের লাইনে। ভিড় টাও আজ বড্ড বেশি। দাঁড়াতে হল আরও ১০ মিনিট। ট্রায়াল রুমের আয়না টা কিন্তু জমপেশ। নতুন জামা কিনি বা নাই কিনি, একটা সেল্ফি তো বানতা হ্যায়।

লেখক ~ অরিজিৎ গাঙ্গুলি
#AnariMinds #ThinkRoastEat